বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের গয়াসপুর জামে মসজিদের ইমামের বেতনের জন্য পঞ্চায়েতের সদস্যদের মধ্যে চাঁদা নির্ধারণ নিয়ে গ্রামের দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১১জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও বালাগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার গয়াসপুর জামে মসজিদের ইমামের মাসিক বেতন পরিশোধের জন্য গ্রামের পঞ্চায়েতের সদস্যদের মধ্যে চাঁদা নির্ধারণ নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বাদ জুমা মসজিদে বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের রুনু মিয়া এবং আখলুছ মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে রুনু মিয়ার লোকজন আখলুছ মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এ সময় দা, টেটা, লাঠিসোটা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত সংঘর্ষে মধ্যস্থতাকারীসহ অন্ততঃ ২০জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনায় আহত মধ্যস্থতাকারীরা হলেন, স্থানীয় পাঁচহাল গ্রামের মখরম আলী (৩৬), লামাপাড়া গ্রামের ফয়ছল আহমদ (২০), কুবেরাইল গ্রামের তমজিদ মিয়া (৪৫), শংকরপুর গ্রামের নাজু মিয়া (২৬) এবং গয়াসপুর গ্রামের সামসুল ইসলাম (২৫) প্রমুখ।
সংঘর্ষের ঘটনায় আখলুছ মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন রুবেল (১৭), মাহতাব (৪০), চান মিয়া (৬০), সুলেমান (১৭), আখলুছ মিয়া (৫০), রাজু (১৫), মখলিছ মিয়া (৬৫) প্রমুখ। এছাড়া রুনু মিয়ার পক্ষে আহত ৬জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন ইব্রাহিম আলী (৬০), আফতাব আলী (৫০), ছায়েদ মিয়া (২৫), হুসন মিয়া (৫০), আবুল মিয়া (২৫), ইদ্রিস আলী (৫৫) প্রমুখ।
দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আলম, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গয়াসপুর গ্রামের বাসিন্দা সামসুল ইসলাম ইরন জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষে কমপক্ষে ১১জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয়ে আলাপকালে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।