বাহুবল (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : পুলিশের মোটরসাইকেল দিয়ে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে হবিগঞ্জের বাহুবল থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) কবীরকে ক্লোজ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে তাকে বাহুবল থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, মঙ্গলবার রাতেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এএসআই কবীরকে ক্লোজ করার আদেশ দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এএসআই কবীরের মোটরসাইকেল নিয়ে ইয়াবা পাচারের সময় সালাউদ্দিন (২২) নামে এক মাদক বিক্রেতা জনতার হাতে আটক হন। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এএসআই এর জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি মোটরসাইকেল মাদক পাচারের কাজে ব্যবহারের সত্যতা পাওয়ায় তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটক সালাউদ্দিন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার সুরমাভ্যালি এলাকার কনা মিয়ার পুত্র। তিনি দুই বছর ধরে বাহুবল উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের তাহির মিয়ার ডেনিং ওয়ার্কশপে কাজ করছেন। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাদক বিক্রি করে আসছিলেন তিনি। মঙ্গলবার এএসআই কবীরের (বাহুবল থানা থেকে পাওয়া) ব্যবহƒত মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে ইয়াবা বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়রা সালাউদ্দিনকে আটক করে। ওই সময় সালাউদ্দিন জানান, অনেক দিন ধরে এএসআই কবীরের সঙ্গে মিলে মাদক বিক্রি করে আসছেন তিনি। সেদিনও কবীর তাকে পশ্চিম জয়পুর গ্রামের ইয়াবা বিক্রেতা শাহিন মিয়ার কাছে ইয়াবা দিতে ও টাকা আনতে পাঠান। ইয়াবা দিয়ে আসার পথে তাকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
পরে খবর পেয়ে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অমৃত ও এএসআই সেলিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেলসহ সালাউদ্দিনকে থানায় নিয়ে যান।