জাতি সংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এহিয়া ভিলা রাষ্ট্রীয় স্মৃতির বাগান হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ইতিহাসের অনেক প্রখ্যাত জ্ঞানী ব্যক্তির এই বাড়িতে আগমন ঘটেছে। খান বাহাদুর এহিয়া জেনারেল হসপিটাল স্থাপন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ হাসপাতাল মানব সেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতার আহবান জানিয়ে তিনি এহিয়া ভিলাকে মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার এহিয়া ভিলা জিতু মিয়ার পয়েন্টস্থ খান বাহাদুর এহিয়া জেনারেল হসপিটালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়েছে। এর সুযোগ সুবিধা আশপাশের লোকেরা বেশি ভোগ করবেন।
জিতু মিয়া সাহেবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এস্টেট’র পক্ষ থেকে হবিগঞ্জের বানিয়াচং এলাকায় একটি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার হয়েছে। এতে মানবসেবার দ্বার আরো উন্মুক্ত হবে।
শুরুতে হাসপাতালের ফলক উন্মোচন শেষে মোনাজাত করেন হাফিজ রাজু আহমদ এবং আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এস্টেট এর বিশেষ সহায়ক কমকর্তা শাহীদ মোবারক।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী মামনুর রশিদের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মৃণাল কান্তি দেব, সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শাহাদত হোসেন, ওয়াকফ এস্টেট’র ম্যানেজার আব্দুর রহমান, ডা. দেবাশীষ দাস সামন্ত, এবি ফার্মাসিটিকেলের পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ মামুন আহমদ, ওয়াকাফ এস্টেট’র নায়েব ফয়েজ আহমদ, অফিস সহকারী রুহুল আমীন রুহেল, নায়েব (বানিয়াচং) সিরাজুল ইসলাম, সহকারী তহসিলদার এইচ এম আমির আলী প্রমুখ।