মাধবপুরে পুলিশের সোর্স হত্যা
আদালতে ঘাতকের স্বীকারোক্তি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২২, ৭:০২:১৯ অপরাহ্ন

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের মাধবপুরের আলোচিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সুমন মিয়া (৩৫) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামী ওয়াসিম।
শনিবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিক দেব হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে মামলার প্রধান আসামী ওয়াসিম মিয়াকে হাজির করেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যিিবধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।
জবানবন্দিতে ওয়াসিম বলেন, নিরাপদে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেই সুমনকে হত্যা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কড়রা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সুমনকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওয়াসিমের সহযোগী আহাদ, হেলাল ও ছাদেক। রাত সোয়া ১০টার দিকে নোয়াপাড়া বাজারের উত্তর দিকে রাইছ মিলের কাছে ওয়াসিমসহ একদল দুবৃর্ত্ত মিলে সুমনের দু’পা কেটে গুরুতর আহত করে।। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহত সুমনের ভাই আল আমিন ওয়াসিম মিয়া কে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন কে আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার রাতে ওয়াসিম, হেলাল মিয়া ও ছাদেক মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর মধ্যে মূল ঘাতক ওয়াসিম আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
আরো দুই আসামী গ্রেফতার
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, হেলাল ও ছাদেক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে, সুমন মিয়া হত্যা মামলার আরো ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হল উপজেলার ব্যাঙ্গাডোবা গ্রামের মৃত মুতি মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া, একই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে মারুফ।
র্যাব-৯ এর শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল শনিবার রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকা থেকে মারুফ কে ও বিকেলে একই এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে। গতকাল রোববার সকালে গ্রেফতারকৃতদে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করেন।