কোম্পানীগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে গরু চুরি ॥ দিশেহারা কৃষকরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:৩২:০০ অপরাহ্ন

কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে গরু চুরি। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। প্রায়ই গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। আর এই গরু চুরির কারণে অনেক কৃষক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। গতকাল রোববার ভোররাতেও উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন মেঘারগাঁও থেকে মো. আলী পাঠান নামে এক ব্যক্তির তিনটি গরু চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া গরুর মধ্যে রয়েছে একটি গাভি, একটি ষাঁড় ও একটি বাছুর । যার বাজারমূল্য দুই লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়েছেন চুরি হওয়া গরুর মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. আলী পাঠান গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোয়ালঘরের দরজা ভেতর দিয়ে লাগিয়ে পাশের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে দেখতে পান, গোয়ালঘরের দরজা খোলা ও তিনটি গরু ঘরে নেই।
তিনি আরো জানান, আমি দুইটি গরু দুই মহাজন থেকে বর্গা নিয়ে পালন শুরু করি। কিছুদিন আগে গাভিটি একটি বাছুর জন্ম দেয়। গোয়ালঘর খালি করে আমার একমাত্র সম্বল নিয়ে গেছে চোরেরা। এখন আমার কিছুই রইল না।
প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক সোহেল মাহমুদ জানান, চোরেরা দরজার নিচ দিয়ে সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে। এর আগে বাড়ির বাইরে থাকা বৈদ্যুতিক বাতি খুলে ফেলে। সকালে ওই বাতি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তিনি আরও জানান, পাঠান একজন বর্গাচাষি। চুরি হওয়া গরু দুইটি দুই মহাজনের কাছ থেকে বর্গা নেয়া। এটাকে অবলম্বন করেই তিনি সংসারের খরচ জোটাতেন। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস তিনটি গরু চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পাঠান।
অপর একটি সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছুদিন ধরেই গরু চুরির উপদ্রব বেড়েছে। আর গরু চুরির কারণে অনেক কৃষক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুল ইসলাম জানান, আমরা এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তারপরও আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি।