চসিক নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২, আহত ৩৫
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ৩:১৪:১০ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক :
চসিক নির্বাচনে সংঘাত সহিংসতা ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বিএনপির মহিলা এজেন্টসহ ৩৫ জন। গতকাল বুধবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টায় নগরীর আমবাগান, পাহাড়তলী, লালখান বাজার ও বাকলিয়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
আমবাগানে আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫জন আহত হন। নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান ইউসেপ স্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আলাউদ্দিন (২৫)। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের কর্মী। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝাউতলার ইউসেফ আমবাগান স্কুল কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে লাগা সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন তিনি। এই হত্যার জন্য সেই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করা হচ্ছে। আহত ৫জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর ঝাউতলা এলাকায় রেল লাইন অবরোধ করে রেখেছেন মাহমুদুরের সমর্থকরা।
এর আগে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছেন। দুই ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন করতেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নির্বাচনের বিরোধে এ খুনের ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। নিহতের নাম নিজাম উদ্দীন মুন্না। অভিযুক্ত তার ভাই সালাউদ্দীন কামরুল। এদের মধ্যে নিজাম উদ্দীন মুন্না সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক ও অভিযুক্ত সালাউদ্দীন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক।
এদিকে লালখান বাজার চানমারি রোডের শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থক এবং বিএনপির কর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। সকাল পৌনে ৯টা থেকে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। কাঁচের বোতল, ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় এলোপাতাড়ি। বিজিবি-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহত হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলালের সমর্থক শহীদুল ইসলাম
অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের হামলায় মহিলা সহ তার ১০ এজেন্ট আহত হয়েছেন। তাদের পিটিয়ে কেন্দ্র ছাড়া করা হয়েছে।