জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার হত্যাকান্ডে আটক ২ আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৩৪:৪০ অপরাহ্ন

মনজুর আহমদ, গোয়াইনঘাট (সিলেট) থেকে :
গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে কিশোর ফটোগ্রাফার উজ্জ্বল (১৩) হত্যাকান্ডের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে আসামীরা।
গতকাল সোমবার দুপুরে আটক দুই আসামীকে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কান্তি দাসের ২য় আদালতে হাজির করা হলে আসামীরা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, গোয়াইনঘাট থানার (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় নিহত উজ্জ্বল’র পিতা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে দুই ঘাতক এবং তাদের পালাতে সহায়তাকারী ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৭, তাং- ৭-১২-২০ ইং)।
সরেজমিনে দেখা যায়, ময়না তদন্ত শেষে গতকাল সোমবার বিকেলে জাফলং রসুলপুর গ্রামের বাড়িতে নিহত উজ্জ্বলের লাশ এসে পৌঁছলে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনরা উজ্জ্বলের নাম ধরে কাঁদতে কাঁদতে বার বার মুর্চা যাচ্ছেন। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। পরে বাদ এশা জাফলং বিজিবি ক্যাম্পে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারকে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে পর্যটকবেশী দুই ছিনতাইকারী জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকার অদূরে মায়াবী ঝর্ণায় কিশোর ফটোগ্রাফার উজ্জ্বলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দুই ঘাতক ও তাদের পালাতে সহায়তাকারী ট্রাক চালক ও হেলপারসহ ৪জনকে আটক করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নিহত ফটোগ্রাফার উজ্জ্বলের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ১টি ছোরাও উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জের ধরমপুর গ্রামের সৈয়দ নুরের পুত্র এহসান মিয়া ও একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র খসরু মিয়া। এ ঘটনায় আটক বিয়ানীবাজার উপজেলার নওয়াগাঁওয়ের নুর মিয়ার পুত্র ট্রাক চালক রায়হান এবং একই গ্রামের আলী নুরের পুত্র হেলপার ওলিউর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।