দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে যানজটে অতিষ্ঠ মানুষ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০২২, ৬:২৫:৫০ অপরাহ্ন

জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি : সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে যানজট নিত্য নৈমিতিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে সিলেট, মোগলাবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, শমসের নগর, জুড়ি, বড়লেখা, মৌলভীবাজার, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারী যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু যাত্রীবাহী লোকাল ও আন্ত জেলা গাড়িগুলো মোগলাবাজারে যানজটের কবলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে সড়কে চলাচলকারী স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, বাজারে আসা ক্রেতা, মুসল্লিগণসহ যাত্রী সাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগের সম্মুখিন হতে হচ্ছে। যানজট নিরসনের জন্য উপজেলা আইন-শৃঙ্খলার সভায় বহুবার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও যানজট নিরসনে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় দিন দিন দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, অতীতে সিলেট-৩ আসনের প্রয়াত এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মোগলাবাজারের যানজট নিরসনে পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কয়েক মাস পূর্বে ১৫/২০ দিন মোগলাবাজারে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ছিল। এরপর থেকে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় সড়কের দু’পাশে অসংখ্য অটোরিক্সা, লেগুনা, বাস, টেম্পু সহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তীব্র যানজটে যাত্রীসাধারণ, রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সসহ অনেক ভিআইপি আটকা পড়ে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন। সড়কটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় সারাদিন যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি ট্রাফিক পুলিশসহ যানজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয় বিশিষ্টজন। তারা বলেন, মোগলাবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যাক্ত হিসেবে পড়ে রয়েছে। এখানে কেউ থাকে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই ভূমিটি টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ দিয়ে যানবাহনের স্ট্যান্ড করা হলে যানজট সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তারা।
মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুদ্দোহা পিপিএম বলেন, স্ট্যান্ড না থাকায় গাড়ি সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। কিন্তু স্থায়ী সমাধানের জন্য বাজার কমিটিসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা প্রয়োজন।