ধর্মপাশায় নদী ভাঙ্গনে কৃষক মকবুল স্বপরিবারে খোলা আকাশের নীচে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২২, ৬:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) থেকে গিয়াস উদ্দিন রানা : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সাবেক ইউপি সদস্য ও মধ্যবিত্ত কৃষক মকবুল হোসেন। তিনি সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। সুরমা নদীর ভাঙ্গন ও ভয়াবহ বন্যায় বিলীন হয়েছে তার বসত বাড়ি। এখন তিনি স্বপরিবারে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
জানা যায়, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক মকবুল হোসেন এর বসবাস সুরমা নদীর তীরবর্তী ইসলামপুর গ্রামে। পর্যায়ক্রমে বাড়িটি সুরমা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ায় তার বাড়ীর সামনে এলজিইডির সড়ক সংলগ্ন পরিত্যক্ত গোলকপুর মৌজায় ২৮৩ দাগ, ৫৬৯ দাগ, ২৯৩ দাগ বর্তমান নতুন রেকর্ড ২৮৯ দাগ, ১২৯, ২৮২ ও ২৮৫ দাগের মধ্যে বর্তমান ৮১৭ দাগে ১৭ শতক, ৮১৮ দাগে ১৭ শতক ও মালিকানা ৬ শতক। সর্বমোট ৪০ শতক জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে এলজিইডির পাকা সড়ক নির্মাণে সরকার অধিগ্রহণ করায় রয়েছে ৬ শতক। ওই দাগের মোট ৪০ শতক জায়গা আমরা সুখাইড় গ্রামের জমিদার এর বংশধর রয়েছে তাদের কাছ থেকে মকবুল হোসেন ক্রয় করেছেন।
২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সুরমা নদীর ভাঙ্গনে মকবুল হোসেনের বসত বাড়ীটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়। তিনি এলজিইডির সড়ক সংলগ্ন তার খরিদকৃত সম্পদের উপর আধা পাঁকা একটি ঘর তৈরী করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে জীবন যাপন করেন।
এমন সময় ধর্মপাশা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘর তৈরীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ওই সম্পদের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুখাইড় গ্রামের জমিদার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। খরিদানা সূত্রে বর্তমান জায়গার মালিক মকবুল হোসেন জানান।
জানান, ৪০ শতক জায়গার মালিক সুখাইড় গ্রামের জমিদার। এখানে কয়েক শতক জায়গা খাস খতিয়ানে থাকায় সরকার সম্পূর্ণ জায়গাটি ডিসি’র খতিয়ানে চলে গেছে। আমার দখলকৃত জায়গাটির উপর আদালতে মামলা চলছে। মামলাটি নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত উপজেলা হাটবাজার নীতিমালা আইনে ওই স্থানটি ভোগদখলের অনুমতি প্রদানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সুরমা নদীর ভাঙ্গনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনতাসির হাসান জানান, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর বাজারে ডিসির খতিয়ানের জায়গা অবৈধভাবে দখল নিয়ে ইসলামপুর গ্রামের মকবুল হোসেন পাকা ঘর তৈরী করার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে।