ফলোআপ
ধলাই সেতু-কলাবাড়ি-দয়ারবাজার সড়ক পরিদর্শনে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৗশলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০২১, ১২:৪২:১৩ অপরাহ্ন

আবিদুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ থেকে ::
দৈনিক সিলেটের ডাক-এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর কোম্পানীগঞ্জের ধলাই সেতু-কলাবাড়ি-দয়ারবাজার সড়ক পরিদর্শন করেছেন সিলেট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর। গত শুক্রবার বিকেলে তিনি ধলাই সেতু থেকে কলাবাড়ি হয়ে দয়ারবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে পুরো সড়কের রূপরেখা পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম ও সার্ভেয়ার মো. আব্দুল আজিজ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, ধলাই সেতু থেকে দয়ারবাজার ও চরারবাজার হয়ে হাদারপাড় (কোম্পানীগঞ্জ অংশ) পর্যন্ত ১২.২০ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণে পূর্বে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। নতুন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় সড়কটি সওজ এর ডিজাইন স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যথাযথ মান ও প্রশস্ত করে (আরসিসি) নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১৬ মার্চ দৈনিক সিলেটের ডাক-এ ‘ধলাই সেতু-কলাবাড়ি-দয়ারবাজার-চরারবাজার সড়কের বেহাল দশা’- কর্তৃপক্ষের নজর নেই’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে সড়কটি নির্মাণ ও পাকাকরণ হয়। এরপর দীর্ঘ তের বছরেও এই সড়কের কোনো কাজ করা হয়নি। মাঝে-মধ্যে স্থানীয়দের উদ্যোগে সড়কের বিভিন্ন অংশে বালু, ইট-পাথরের টুকরা ফেলা হয়। তাতে কিছুদিনের জন্য চলাচলের উপযোগী হলেও পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে পূর্ব ইসলামপুর ও উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। সড়কে পাথর বহনকারী বহু ট্রাক-ট্রাক্টরসহ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, মালবাহী পিকআপ ও মোটরসাইকেল চলাচল করে। এ রাস্তা দিয়ে কলাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় এবং ভাটরাই উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। কিন্তু, গত তের বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারবিহীন। এ কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। রাস্তা দিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সও চলাচল করতে পারে না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, সড়কটি আরসিসি (কংক্রিট) ঢালাই দিয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।