পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:৩২:৫৩ অপরাহ্ন

মোঃ নুরুল হক, শান্তিগঞ্জ থেকে: হাওরাঞ্চল সুনামগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা শান্তিগঞ্জ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের নিজ উপজেলা হওয়ায় জেলাজুড়ে এর কদর একটু বেশি। সময়ের পরিক্রমায় উন্নয়নের আলোয় আলোকিত এই উপজেলা। একসময় সুনামগঞ্জ সদরের সাথে যুক্ত ছিল উপজেলাটি। এরপর ২০০৬ সালের ২৭ জুলাই শান্তিগঞ্জকে একটি স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালের ১৮ মে থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১২ সালে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পর থেকেই পিছু ফিরে থাকাতে হয়নি এই উপজেলার মানুষের। ক্রমেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যেতে থাকে উপজেলাটি।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র শান্তিগঞ্জ এলাকাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, থানা ভবন, খাদ্য গোদাম, টেক্সটাইলসহ নানা স্থাপনা রয়েছে। আরও অনেক বড়বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে এখানে। ইতিমধ্যে উপজেলা সদরকে পৌরসভায় রূপান্তর করার ঘোষণাও দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি।
এক সময় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ নামে পরিচিত এ উপজেলাকে হাওররতœ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি’র হাত ধরেই স্থায়ীভাবে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় নামকরণ হয়েছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা সর্বস্তরের মানুষ সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন হাতের নাগালেই। পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় উপজেলাটি এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত। রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট সব পাচ্ছেন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষ। এত উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন তারা। শান্তিগঞ্জের সর্বত্রই এখন শান্তির সুবাতাস বহমান। মানুষের মুখেমুখে হাসির ঝিলিক।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কথা হলে তাঁরা বলেন, আগে অনেক কিছুই সুনামগঞ্জে গিয়ে করতে হত। অনেক ভোগান্তি পোহাতে হত। এখন আমরা হাতের নাগালেই সব সেবা পাচ্ছি। এজন্য আমরা পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, উন্নয়নের মহা কর্মযজ্ঞে চেহারা পাল্টে গেছে এক সময়ের অবহেলিত উপজেলা শান্তিগঞ্জের। এখন সব সেবা দোরগোড়ায় পাওয়ায় মানুষের মাঝে তৃপ্তি এসেছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় সকল কষ্ট লাঘব হয়েছে এই এলাকার মানুষের। উন্নয়নের প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
উপজেলা উদীচীর সভাপতি শ্যামল দেব বলেন, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয় সাংস্কৃতিক চর্চায়ও বেশ এগিয়ে যাচ্ছে শান্তিগঞ্জ। আমরা সব ধরনের প্রশাসনিক সাপোর্ট পাচ্ছি। আর উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এক কথায় যা উন্নয়ন হয়েছে তা কল্পনার বাইরে ছিল। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সজ্জন রাজনীতিবীদ পরিকল্পনামন্ত্রীর।
উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি রাধিকা রঞ্জন তালুকদার বলেন, আমাদের চোখের দেখা এই শান্তিগঞ্জ উপজেলায় কিছু ছিলনা। এম এ মান্নান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পালটে গেছে শান্তিগঞ্জের চিত্র। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এখানে। আগামীতে আরও যে কত উন্নয়ন হবে এটা কল্পনার বাইরে।
এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রীর হাত ধরেই উন্নয়নের আলোয় আলোকিত শান্তিগঞ্জ উপজেলা। এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মানুষের যা যা প্রয়োজন সব করা হচ্ছে এখানে। ফলে উন্নয়নের প্রকৃত সুফল পাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।