পাঁচ বছরে ১৭১ জনের মধ্যে মাত্র ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ৪:০৭:০২ অপরাহ্ন

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছর
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সাবেক অর্থমন্ত্রী হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিচার কাজ ১৬ বছরেও সুরাহা হয়নি। এ ঘটনার তদন্ত কাজে সময় ক্ষেপন হয়েছে প্রায় ১০ বছর। সিআইডি তিন দফা এ মামলার তদন্ত করে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি সরোয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল জানান, এ মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। একই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায়ও ২০২০ সনের ২২ অেেক্টাবর চার্জ গঠন করা হয়। আজ বুধবার উভয় মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে। তিনি আরো জানান, এ মামলার মূল আসামীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। তাদেরকে দেশের বিভিন্ন আদালতে হাজির করার জন্য এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করতে হয়। তাই মামলার ধার্য তারিখে সব সময় আসামীদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় না। এতে মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ মামলার আসামীদের মধ্যে তিন জনের ইতোমধ্যে অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এরা হচ্ছে মুফতি আব্দুল হান্নান, শরীফ সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন।
এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীসহ ৯ জন আসামী পলাতক রয়েছে। এছাড়া এ মামলার আসামী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফ চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌছসহ জামিনে আছেন ৯ জন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া ও তার ভাতিজা মঞ্জুরুল হুদাসহ ৫ নেতাকর্মী নিহত এবং হবিগঞ্জÑ৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ ৭০ জন আহত হন। ঐদিন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সদর থানায় বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন।