বড় হতে হলে সর্বাগ্রে সময়ের মূল্য দিতে হবে। -ডিকেন্স।
প্রি-পেমেন্ট বিদ্যুৎ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ৫:৪৮:৪৮ অপরাহ্ন

প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপিত হচ্ছে বিদ্যুতের। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটেও এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। মূলত বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল পরিশোধের ঝামেলা এড়াতে সাড়ে তিন লাখ প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই গ্রাহকদের বিনামূল্যে প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করে দেয়া হবে। জানা গেছে, সিলেটে প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। দু’এক মাসের মধ্যেই এসব মিটার সিলেট এসে পৌঁছুবে। পর্যায়ক্রমে এসব মিটার স্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।খবরটি সম্প্রতি এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুতের সামগ্রিক চাহিদা পাল্টে যাবে। এতে বিদ্যুতের অপচয় রোধ হবে এবং এর শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে আরও বলা হয়েছে, প্রি-পেমেন্ট মিটার সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের বিল সংক্রান্ত সকল অসঙ্গতি দূর করবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৮ সালে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায় আনা হয়েছে। জানা গেছে, কিছু গ্রাহক এ মিটার স্থাপনে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। বকেয়া পরিশোধের ভয়ে অনেক গ্রাহক প্রি-পেমেন্ট মিটার লাগাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। শুধু সিলেট নয়, সারাদেশেই বিদ্যুৎ বিতরণে প্রিপেইড মিটার বসাচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে কাজে ধীরগতি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে এই কাজ শেষ হবেনা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সারাদেশে তিন কোটির বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। তবে এখনও প্রিপেইড মিটার যায় নি ৫০ লাখ গ্রাহকের ঘরেও। প্রত্যেকটি বিতরণ কোম্পানি পৃথকভাবে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করছে। তবে প্রিপেইড বিদ্যুৎ মিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানামুখী ভোগান্তির অভিযোগ করছেন গ্রাহকেরা। হঠাৎ কার্ডের টাকা শেষ হলে ছুটির দিনে রিচার্জ করা যায় না। কার্ড রিচার্জ করলে শুরুতেই অনেক টাকা কেটে নেওয়া হয়। একই বাড়িতে প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড দুই ধরনের মিটার থাকায় দুই পদ্ধতিতেই বিল দিতে হচ্ছে। এমন নানা ধরনের ভোগান্তির অভিযোগ উঠলেও বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, সমস্যা এখন প্রায় নেই বললেই চলে। তারা নানাভাবে গ্রাহককে সেবা দিতে চেষ্টা করছেন। তবে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের নিয়ম পুরোটা না জানায় কিছু সমস্যা হচ্ছে বলে তারা স্বীকার করেন।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎবিল সংক্রান্ত অভিযোগের অন্ত নেই। এর মধ্যে রয়েছে- ভৌতিক বিল, মিটার রিডিং না দেখেই বিল দেয়া, অকেজো মিটার প্রতিস্থাপনে ভোগান্তি ইত্যাদি। এছাড়া, আছে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ। গ্রাহকদের বিল যথাসময়ে না পাওয়াসহ রয়েছে বিল পরিশোধে হয়রানি। এমনি পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষে প্রি-পেমেন্ট মিটার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ গ্রাহক-স্বার্থ সংরক্ষণে সক্ষম হবে বলেই আমরা আশাবাদি।