বঙ্গবন্ধু : একজন পাকিস্তানি সাংবাদিকের দৃষ্টিতে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ৪:১৭:২৩ অপরাহ্ন

অনুবাদক : সৈয়দ মবনু
ভূট্টো ঢাকায় সফর
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকা থেকে চলে যাওয়ার পর পিপি-এর চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টো তাঁর সঙ্গীদেরকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত কথাবার্তা চলতে থাকে। এই আলোচনার বেশির ভাগ বিষয় তা ছিলো যে, ক্ষমতার ক্ষেত্রে মিস্টার ভূট্টোর অংশ কি হবে? আওয়ামী লীগের নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ক্ষমতার বিষয় তখন আসবে যখন আইনের অনুমোদন দেশের প্রেসিডেন্ট দিবেন এবং নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ক্ষমতা বিতরণ করা হবে। এখন তো পার্লামেন্টের উদ্বোধনী বৈঠক এবং নির্বাচিত সদস্যদের শপথের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। এরপর ১২০ দিনের মধ্যে গ্রহণযোগ্য আইন তৈরির জন্য একটা গ্রুপ তৈরির বিষয়টি আসবে। ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য হলো যে, ক্ষমতায় শরিক হওয়া-না হওয়াটা সময়ের বিষয়। যখন ছয়দফার বিষয়ে কথাবার্তা শুরু হলো তখন কামাল হোসেন বলেন, ছয়দফার বিষয় রাজনৈতিক। যখন আইন সাজানো হবে তখন এই বিষয়ে আইনী কথা ব্যবহার করবো। ভূট্টো সাহেব বলেন, ছয়দফা প্রতিরক্ষার দিকে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর এবং তা কনফেডারেশনের মতো। ৩০ জানুয়ারি (১৯৭১) আওয়ামী লীগ ও পিপির নেতারা এবং সাংবাদিকরা গভর্ণরের স্টিমার ‘মেরি অ্যান্ডারসন’-এ করে নৌভ্রমণ আর লাঞ্চ করেন। সেই বিকালে করাচিতে যাওয়ার পূর্বে পিপলস পার্টির নেতা ঢাকা ইন্টারকান-এ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আমি করাচি, হায়দারাবাদ, মুলতান, রাওয়ালপিন্ডি এবং পেশওয়ারে আমাদের নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য এবং দলের নেতাদের সাথে এবিষয়ে পরামর্শ করবো, তাই আমার মতে জাতীয় পার্লামেন্টের বৈঠক মার্চে শুরু করা হোক।’ ভূট্টো তখন ঘোষণা করেন, তিনি ছয়দফার মধ্যে সাড়ে পাঁচ দফাকে গ্রহণে স্বাগত জানাচ্ছেন।
হোটেল থেকে আমি সোজা শেখ সাহেবের বাসায় গিয়ে দেখি তিনি কামরুজ্জামান, তাজ উদ্দিন, খন্দকার মুশতাক এবং জহুরুদ্দিনের সাথে সিঁড়ি দিয়ে নীচে আসছেন। তারা সবাই ভূট্টোকে বিদায় করতে এয়ারপোর্ট যাচ্ছেন। আমার এক বন্ধু সৈয়দ কামাল উদ্দিন যখন ভূট্টোর সাংবাদিক সম্মেলন বিষয়ে কথা বলে সাড়ে পাঁচ দফা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন তখন শেখ মুজিব এবং ড. কামাল হোসেন দুনো থমকে গেলেন। তারা দুজনে কিছু একটা ভাবলেন এবং এরপর কামরুজ্জামান, খন্দকার মুশতাক এবং তাজ উদ্দিনকে বলেন যে, তারা যেন মেহমানদেরকে বিদায় করতে এয়ারপোর্ট চলে যান। বাকীদেরকে নিয়ে তিনি ড্রয়িং রোমে ফিরে যান। তিনি প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলেন, ‘আমাদের তো ছয় দফা দাবী, এতে আমরা কোন কমবেশি করিনি। সাড়ে পাঁচ দফা ভূট্টোর নিজের হবে।’ দুপুর পর্যন্ত যে খুশির ভাব ছিলো তা ভূট্টোর কিছু বাক্যে ধ্বংস হয়েগেলো। অবিশ্বাস ও সন্দেহের দৈত্যটি তার রক্তাক্ত চোয়াল দেখিয়েছিলো। এই রাতেই জানতে পারি, আওয়ামী লীগের নেতা পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় ডেকেছেন। এখনও ১৪ ফেব্রুয়ারি অনেক দূরে
উপমহাদেশের আকাশে শীতল যুদ্ধের মেঘ তৈরি
৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০-এর একটি ঘটনা উপমহাদেশের আকাশে শীতল যুদ্ধের মেঘ তৈরি করে দিয়েছিলো। নিজকে কাশ্মীরী স্বাধীনতাকামী দাবীদার দুই যুবক হাশিম এবং আশরাফ ভারতের এক যাত্রীবাহী জাহাজ ‘গঙ্গা’-কে লাহোর বিমান বন্দরে অবতরণে সফল হয়ে যায়। এই ঘটনার তদন্তের কথা দুজন ব্যক্তি বলছেন। একজন বেশি আসনপ্রাপ্ত দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যজন তৎকালিন আজাদ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সর্দার আব্দুল কাইয়ূম খান। এই সময় কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের নেতা মকবুল বাট শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন এবং লাহোরে আওয়ামী লীগ অফিসে যে সুসংগঠিত হামলা করেছেন তা পূর্ব পাকিস্তানে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কিন্তু তা রাজপথে আসতে দেওয়া হয়নি। পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা পূর্ণাঙ্গ অবগতির সাথে মুজাহিদদের রাস্তায় এমনভাবে ফুল-চন্দন দিচ্ছেন যেন তারা ফিলিস্তিন স্বাধীন করে নিয়েছে। ভূট্টো লাহোর বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার প্রশংসা করেছেন। তাদের ভাষায় পিঠে তাপ্পর দিয়ে মুজাহিদরা ‘গঙ্গা’কে উড়িয়ে দিয়েছে। এরপর মুজাহিদরা মিছিল বের করে। এই সময় লাহোরের জনগণ তাদেরকে বিজয়ী হিসাবে স্বাগত জানায়। এর মূল্য খুব দ্রুত দিতে হয়। পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাসের ফাঁক আরও বড় হয়ে যায়। ইসলামাবাদ এবং লাহোর থেকে ঢাকায় সরাসরি বিমান পরিসেবা বন্ধ করে দেওয়া হলো, যা আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি (অনুবাদকের নোট : এই বই লেখা পর্যন্ত)। করাচি থেকে ঢাকায় লম্বা পথে ঘুরে যাওয়া-আসা করতে হয়। পরে আবার মুজাহিদদের নেতা মকবুল বাটকে ভারতীয় এজেন্সির লোক ঘোষণা দিয়ে ভারত সীমান্তে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তা তখন হয়েছে যখন পূর্ব পাকিস্তান পৃথক হয়ে যায়।
নির্বাচনী ফলাফলের উপর খান আব্দুল ওয়ালি খানের বক্তব্য :
নির্বাচনি ফলাফলের উপর সবচেয়ে বাস্তবসম্মত বক্তব্য দিয়েছিলেন খান আব্দুল ওয়ালি খান। তিনি বলেছিলেন, ‘পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান রাজনৈতিকভাবে দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।’ গঙ্গায় আক্রমণের পর দেশের দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে ছিলো। তবে সংকটের গতি তেজি হতে চলেছে। যদিও ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অনেক ব্যবধান। দুর্ভাগ্য যে রাজনৈতিক ডান, বাম এবং ক্ষমতাবানরা তা অনুভব করতে পারেন না। বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে যদি কেউ বুঝেন তবে তারা মুখ বন্ধ করে বসে আছেন। আর যারা মুখ খুলছেন তাদের উপর পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
পরিস্থিতির আলোকে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকার :
১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১-এ আওয়ামী লীগের অফিসে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা হয়। যদিও তিনি কোন অবস্থায়ই হতাশ হতেন না, কিন্তু সাধারণ মানুষ হতাশ এবং উদাস ছিলো। আশার আলো কখনও কখনও জ্বলে উঠতো যে, সম্ভবত শাসকেরা বুদ্ধি এবং সচেতনতার সাথে কাজ করবেন। রাজনৈতিক বিষয়কে পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করবেন। এবং ইতিহাসে বারবার ঘটে যাওয়া ঘটনাকে আবার করা হবে না যে, তলোয়ার দিয়ে দেশের ঐক্য ধরে রাখার চেষ্টা। অস্ত্রবাজদের ঘরে অস্ত্রবাজদের অস্ত্রের শ্লোগান এবং ছবির নায়কের মতো ডায়লগ মারা সহজ, কিন্তু বাস্তব দুনিয়াকে এই শ্লোগানবাজি দিয়ে চালানো ব্যক্তি মানুষের জন্য এবং জাতির জন্য অনেক কঠিন। বিষন্নপরিবেশে কিছু প্রশ্ন আমার চিন্তায় উদিত হচ্ছে এবং এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার মতো যে কজনের ক্ষমতা রয়েছে তাদের একজন শেখ মুজিবুর রহমান।
আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম : বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে আপনার ব্যক্তিগত মতামত কি?
উত্তর : দেশ এমন এক গর্তের ভেতর ডুকে যাচ্ছে যা থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কষ্টকর হবে। আমাদের দাবী ছিলো ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় পার্লামেন্টের বৈঠক ডাকা হোক। কিন্তু এখনও এর উত্তর পাওয়া যায়নি। পরাজিত দলগুলোর নেতাদের কথাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সি.এম.এল.এর এ্ই হকের কথা আমি স্বীকার করি যে তিনি যার সাথে ইচ্ছে মিলতে পারবেন এবং যাকে ইচ্ছে অবহেলা করুন। তবে আমি সেই মানুষদের মধ্যে নয় যাকে অবহেলা করা যাবে। আমি দেশের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা। জনগণ আমাকে আইনীভাবে এই অধিকার দিয়েছে যে আমি তাদের অধিকারকে রক্ষা করবো, তারা আমাকে সমর্থন করুন কিংবা না। পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে আমি ঋণী, তারা আমাকে ঋণ দেউক কিংবা না। কিন্তু সি.এম.এল.এ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জনতার এই রায় ও অধিকারকে গ্রহণ করতে পারছেন না। তারা নির্বাচনকে অকার্যকর করতে ষড়যন্ত্র তৈরি করছেন। তবে আমার বিশ্বাস জনগণ আমার সাথে থাকবে। কারণ, বাঙালি জনগণ ভোট দিয়ে ঘরে গিয়ে বসে থাকে না। বরং সে প্রস্তুত এবং সতর্ক থাকে। আমার বিশ্বাস, অবস্থা যাই হোক না কেন আমি জনতাকে সাথে নিয়ে ওদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
প্রশ্ন : আপনি কি মনে করেন বর্তমান সরকার জেনে-বুঝে পরিস্থিতি খারাপ করছেন, অন্য বাক্য বললে, আপনাকে উপেক্ষা করছেন?
উত্তর : আমাকে এমন প্রশ্ন করো না। সরকারকে একেবারে নিস্পাপ মনে করো না।
প্রশ্ন : বর্তমান সংকটের ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন?
উত্তর : তুমি একই প্রশ্ন বারবার অন্য বাক্যে করছো। তুমি আমার কাছ থেকে কি বের করতে চাচ্ছো?
প্রশ্ন : জনাব, আপনি তো আমার উপর এই প্রশ্নই করে দিলেন, আমার চেষ্টাও তাই যে, আপনার চিন্তাসমূহের মাধ্যমে আমার পাঠক পর্যন্ত পৌঁছা।
উত্তর : বর্তমান সংকট কৃত্রিম বিষয়। যখনই জাতীয় বিষয়ে কোন পূর্ব পাকিস্তানী নেতৃত্বে আসতে যায় তখনই একটি ইস্যু তৈরি করা হয়ে যায়।
প্রশ্ন : মাননীয় রাষ্ট্রপতি আপনাকে আগামীর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, আপনার কি তাঁর সাথে কোন যোগাযোগ নেই?
উত্তর : জ্বি না, আমার যোগাযোগ শুধু গভর্ণরের মাধ্যমে।
প্রশ্ন : আইনের বিষয়ে কি আপনার পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য দলের সাথে পুনর্মিলনের আশা আছে?
উত্তর : কেন থাকবে না, আইনের বিষয়ে পুনর্মিলন ছাড়া গাড়ী কীভাবে সামনে নিয়ে যাওয়া যাবে? কিন্তু পুনর্মিলন তো রাস্তায় করা সম্ভব নয়। আইনের উপর কথাবার্তা এবং বিতর্ক তো আইন তৈরিকারী পার্লামেন্টে হবে। যদি এই বিষয় রাস্তাতেই সমাধান করার হতো তবে নির্বাচনের কি প্রয়োজন ছিলো?
প্রশ্ন : অন্যান্য দলগুলোর নেতাদের ভয় হলো যদি পার্লামেন্টের বৈঠক শুরু হয়ে যায় তবে তারা তাদের দলীয় সদস্যদের বেশিরভাগের সমর্থন হারিয়ে ফেলবেন। তাদের এই সন্দেহও রয়েছে যে, আপনি আপনার সংখ্যাঘরিষ্টতা দিয়ে ফায়দা উঠাবেন। অন্যদেরকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিবেন না?
উত্তর : (তিনি কথা কেটে বলেন) এই সব সন্দেয়, ভয়, আশংকা তো সব স্থানেই হয়। এসবের জিম্মাদারী আমার উপর নয়। এটা তাদের মাথাব্যথা। আমার সম্পর্ক যতটুকু তা হলো, আমি অতীতেও মিলেমিশে কাজ করেছি। আমি ঐক্যের খাতিরে ফ্রন্টের মধ্যে একটি আসন ত্যাগ পর্যন্ত করেছি। আমি ঐক্যের খাতিরে নিজের সংখ্যাঘরিষ্টতার দাবী বাদ দিয়ে সমান প্রতিনিধিত্বের নীতিকে গ্রহণ করেছি। আমি ঐক্যের খাতিরে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যকেও সহ্য করেছি। তাও ধৈর্র্য্য ধরেছি যে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যালয় পশ্চিম পাকিস্তানে হবে। আমরা দুটা জাতীয় ভাষা মেনে নিয়েছি, অথচ বাংলা ভাষার মানুষ বেশি ছিলো এবং রয়েছে।
প্রশ্ন : পিপিপি’র পার্লামেন্ট সদস্যরা কি আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করেছেন?
উত্তর : তোমার কি এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই?
প্রশ্ন : আপনি কি পার্লামেন্ট বৈঠকের পূর্বে পশ্চিম পাকিস্তানে যাওয়ার কোন ইচ্ছে আছে?
উত্তর : যদি জাতীয় পার্লামেন্টের বৈঠক ইসলামাবাদে ডাকা হয় তবে আমি অবশ্যই যাবো। তবে আমি মনে করি এখন রাজনৈতিক সফরের সময় নয়। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় বিষয় আইন প্রণয়ন এবং তাও এলএফও-এর নির্দিষ্ট মেয়াদ এবং নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ি। নতুবা আশার পার্লামেন্ট ধ্বংস হয়ে যাবে। এরপর নাজানি কবে নির্বাচন হবে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর অর্জিত পার্লামেন্টকে আমি ধ্বংস হতে দেবো না।
প্রশ্ন : আপনি কি আইনের বিষয়ে হোমওয়ার্ক সম্পূর্ণ করে নিয়েছেন?
উত্তর : আমরা হোমওয়ার্ক করছি এবং আইনের অনুমোদন পূর্ণাঙ্গ বিতর্কের পরই হবে। আমরা আমাদের আইন অন্য কারো উপর চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে নয়।
প্রশ্ন : প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আপনাকে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। আপনি কি তাঁকে আগামীতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে গ্রহণ করে নিবেন?
উত্তর : তিনি তো এখনও প্রেসিডেন্ট। আর যতটুকু আগামীর সাথে সম্পর্ক তা তো আগামীর আইন ও পার্লামেন্ট নির্ধারণ করবে।
প্রশ্ন : প্রাদেশিক গভর্ণর এবং অন্যান্যদের ব্যাপারে আপনার মত কি?
উত্তর : কেন ঘোড়াতে গাড়ীর আগে বাঁধতে চাচ্ছো? প্রথমে আইন, পরে অন্যকিছু।