সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জোরপূর্বক ভাংচুরে ভিটেমাটিছাড়া ৪শ’ লোক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২২, ৬:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অবৈধ ও জোরপূর্বকভাবে দোকানকোটা ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বড়শালা এলাকার বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়া। এতে চারশ’ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং উদ্বাস্তু হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
গতকাল রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। ফারুক মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের স্বত্ব দখলীয় ভূমি বিমানবন্দর প্রধান ফটক সংলগ্ন বড়শালা মৌজার ১৪৮৭ নম্বর দাগের ভূমি (জে.এল নং- ৫৪, খতিয়ান নং-২)। গত ১২ আগস্ট বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এই জমিতে গড়ে ওঠা দোকানপাট এবং পরদিন আধাপাকা বসতঘরে জোরপূর্বক ভাংচুর চালানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় প্রায় ৫শ’ পুলিশ ও আনছার বাহিনী এবং অজ্ঞাতনামা আরও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তারা বুলডোজার দিয়ে আমাদের প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে ৩০টি পাকা ও টিনের বাড়িঘর ও দোকান মাটিতে মিশিয়ে দেন। আদালতে আমাদের পক্ষে ইনজাংশন থাকার কাগজ দেখাতে গেলে তারা উল্টো আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ভয়ে আমরা প্রায় চারশ’ লোক জীবন বাঁচাতে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করি।’
ফারুক মিয়া বলেন, এই ভূমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এমতাবস্থায়, কোনো প্রকার আইনি নোটিশ ছাড়াই মামলা চলমান থাকাবস্থায় ১২ আগস্ট জোরপূর্বক ভাংচুর শুরু করা আদালত অবমাননার শামিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এহেন কর্মকাণ্ডের কারণে কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানান ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমরা চারশ’ জন লোক ভিটেমাটি হারা হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের সকল কাগজপত্র দেখে আমাদের জমি ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফয়ছল আহমদ, বাবলু মিয়া, রোজিনা আক্তার, রেজিয়া, রাশিদা আক্তার, হোছনে আরা, নূর উদ্দিন, সায়েদ, মো. জয়নাল, মায়া, সাদেক, মানিক, আনোয়ার আলী, মুন্নী আক্তার, লাইলী বেগম, হাফিজা, ফুলতেরা, খাদিজা, অলী, মারুফ প্রমুখ।