শিক্ষার যথার্থ উদ্দেশ্য হলো তাকে কাজে লাগানো, শুধু জ্ঞান আহরণ নয়। -স্পেন্সর।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৪:০৪:৫৬ অপরাহ্ন

লাগামহীন ভোজ্যতেলের দাম। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে দাম বিভিন্ন ধরণের ভোজ্যতেলের। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়- বাজারে সবচেয়ে কমদামি পাম তেলের দামও এখন প্রতি কেজি একশ’ টাকার ওপরে। গত বছর এই সময়ে এই তেলের দাম ছিলো ৭০ থেকে ৮২ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ এক বছরে পামতেলের দাম বেড়েছে ৩১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় এমনি আরেকটি তেল হচ্ছে সয়াবিন। এই সয়াবিনের দামও বেড়েছে গত এক বছরে প্রায় ২২ শতাংশ। ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কয়েক দফা বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বাজারে এর কোন ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।
ভোজ্যতেল আমদানী নির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে আমাদের দেশেও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া, ইদানিং আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। এক্ষেত্রে কী করণীয়, সেটাই আসল। এখানে জরুরি একটা বিষয় হচ্ছে, আমদানী শুল্ক। এই শুল্ক কমালে বাজারে ভোজ্যতেলের দামের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কমবে দাম। এই রকমই বলছেন বিশেষজ্ঞগণ। আর ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। তবে এখানে একটা আশঙ্কার কথা উল্লেখ করতেই হয়। [আমাদের দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির যে কালচার চলছে, তাতে কোন পণ্যের দাম বাড়লে, তা আর কমানো হয় না; এমন ঘটনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। আমদানী নির্ভর পণ্যের ক্ষেত্রেও ঘটছে এমন ঘটনা। বিদেশে এইসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে বাড়ানো হয় দাম। আর দাম একবার বাড়লে তা আর কমানো হয় না। সেখানে আমদানী মূল্য কিংবা আমদানী শুল্ক যতোই কমানো হোক না কেন; কোন লাভ হয় না।]
রমজান সামনে। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি আমাদের জন্য একটা নিয়মিত ঘটনা। এখন থেকেই ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা শুরু করতে পারে, এমনটিই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে বিষয়ে সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। তার চেয়ে জরুরি ভোজ্যতেলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। অতীতে দেশে উৎপাদিত ভোজ্যতেলই চাহিদার প্রায় পুরোটা পূরণ করতো। এখনও সম্ভব। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে বার্ষিক ২০ লাখ মেট্রিকটন ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের দিকেই এগোতে হবে।