যুদ্ধাপরাধের দায়ে হবিগঞ্জের শফির মৃত্যুদণ্ড ॥ ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২২, ৫:৪২:৪২ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের মাওলানা মো. শফিউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ৩ আসামি মো. তাজুল ইসলাম ওরফে খোকন, জাহেদ মিয়া, ছালেক মিয়াকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া, পলাতক আসামি সাব্বির আহমেদকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এবং আসামির বয়স বিবেচনায় তিনি খালাস পেয়েছেন। সাব্বির আহমেদ দ্বিতীয় আসামি যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে খালাস পেয়েছেন। এর আগে গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে ময়মনসিংহের আব্দুল লতিফকে খালাস দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা মো. শফিউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায়।
রায়ের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তারা রায়ে সন্তুষ্ট।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা ন্যায়বিচার পাননি। আপিল করলে উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।
২০১৮ সালের ২১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত শেষে মামলায় মোট ২১ জনকে সাক্ষী করা হয়।
হতদরিদ্রদের চালের
দামও ৫ টাকা বাড়ল
ডাক ডেস্ক : খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র মানুষের কাছে বিক্রি করা চালের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন দাম অনুযায়ী কেজি প্রতি চালের দাম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।
নতুন দাম আজ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে খাদ্য অধিদপ্তরের এই কর্মসূচির চালের বিক্রয় মূল্য পুনর্নির্ধারণ করে গত ২২ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চালের নতুন মূল্য কার্যকর করতে নির্দেশ দিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ নীতিমালা, ২০১৬’ অনুযায়ী ‘খাদ্য বান্ধব’ কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্র জনসংখ্যার মধ্য থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচিত সর্বোচ্চ ৫০ লাখ পরিবারকে কর্মাভাবকালীন (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল) ৫ মাস প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রির ক্ষেত্রে চালের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
এতে বলা হয়েছে, সমতল ও দুর্গম এলাকার জন্য ভোক্তা পর্যায়ে (প্রতিটি নির্বাচিত পরিবারের কাছে) চালের খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রতি কেজি ১৫ টাকা এবং এক্স-গোডাউন মূল্য (ডিলারের কাছে বিক্রয় মূল্য) সমতল এলাকার জন্য প্রতি কেজি ১৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং দুর্গম এলাকার জন্য প্রতি কেজি ১৩ টাকা। পুনর্নির্ধারিত মূল্য ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা হচ্ছে।