রাজনগরে শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ২:১৭:২৯ অপরাহ্ন

রাজনগর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বাহারি সব পিঠার মেলা। নবান্ন, বিন্নি, নকশিসহ বিভিন্ন নামের আটটি স্টল নিয়ে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে পিঠা কিনছেন শিক্ষকরা। শীতে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে মৌলভীবাজারের ইম্পিরিয়েল কলেজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় পিঠা উৎসব। বনফুল, পাটিসাপটা, চিতৈ, গোলাপ, জামাই, নকশীসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক পিঠাপুলি বাড়ি থেকে বানিয়ে এনেছেন শিক্ষার্থীরা। নিজেদের খরচে তারা এসব পিঠা তৈরি করেছেন। আটটি স্টলে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই পিঠাগুলো বিক্রি করেছেন।
নবান্ন স্টলের মনোয়ার আহমদ বলেন, গ্রাম বলুন আর শহরই বলুন। শীতের আমেজ এখন সবখানেই। আমরা আমাদের দাদি নানীর কাছ থেকে গল্প শুনেছি শীতকালে অনেক পিঠা তৈরি করতেন। আমরা সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
সোনিয়া আক্তার বলেন, আমাদের কলেজ থেকে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরণের পিঠা তৈরী করে নিয়ে এসেছি। আমাদের সহপাঠীরা, শিক্ষকরা ও অভিভাবকরা এই পিঠা কিনছেন।
পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করে ভালো লাগছে বলে জানালেন বাহারি স্টলের মাজেদা বেগম। আর ফুলঝুড়ি স্টলের শাফিন আহমদ জানান, বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এ ধরনের উৎসব অব্যাহত রাখার ইচ্ছা রয়েছে তার।
আনুষ্ঠানিকভাবে সকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ছড়াকার আবদুল হামিদ মাহবুব, ইম্পিরিয়েল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মামুনুর রশীদসহ অনেকে।
কলেজের শিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামীণ যে ঐতিহ্য আছে সেটা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য লালনের চেষ্টা করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই পিঠা বানিয়ে এনেছেন।
মৌলভীবাজারের ইম্পিরিয়েল কলেজের কো-অর্ডিনেটর মো. সিতাব আলী জানান, আমার যারা শহরে বসবাস করি, তারা গ্রামীণ এই ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত। সেই ঐহিহ্যের স্বাদ পাওয়ার জন্য অনেক ধরনের পিঠা আজ স্টলে উঠেছে। অনেক পিঠা আছে যেগুলোর নামও আমরা জানি না। এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে ম‚লত আমাদের ঐতিহ্যকে স্মরণ করার জন্য আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি।