শামীম-আলীকে নিয়ে নিজেদের বলয় সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন জেলা আহ্বায়ক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ২:১৬:১৫ অপরাহ্ন

জেলা বিএনপির একাংশের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার :
আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের ‘অদক্ষতা ও অযোগ্যতা’র কারণে সিলেট জেলা বিএনপি’র কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের নির্দেশনা অনুসারে আহ্বায়ক একপেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বিএনপিতে তারা নিজেদের বলয় সৃষ্টিরও পাঁয়তারা করছেন।
গতকাল সোমবার নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির ৮ জন সদস্যের উপস্থিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। তাদের পক্ষে আহ্বায়ক কমিটির ৯ জন সদস্য রয়েছেন বলে জানানো হয়। পারিবারিক অসুবিধার কারণে আহ্বায়ক অপর সদস্য উপস্থিত হতে পারেননি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে শক্তিশালী কাউন্সিল করারও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রায় প্রায় এক বছর পার হয়েছে। এরপরেও এ কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার কার্যকর সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, বর্তমানে সিলেট জেলা বিএনপি সাংগঠনিক কাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের উদাসীনতাও সাংগঠনিক বিশৃংখলা সৃষ্টির কারণ বলেও তারা উল্লেখ করেন। বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসা ব্যক্তিরা শীর্ষ পদে বসে এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের স্বার্থের প্রতি তাদের আন্তরিকতাও আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। এ অচলাবস্থা নিরসন না হলে আগামী কাউন্সিল নিয়ে তারা সংশয় প্রকাশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আহ্বায়ক গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২১ সদস্যের একপেশে উপজেলা কমিটি গঠন করেন। তখন প্রতিবাদের মুখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। এরপর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাংগঠনিক অচলাবস্থা নিরসনে প্রতিটি উপজেলা কমিটিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে আমাদের পক্ষের ৬ জন নতুন সদস্যের তালিকা দেয়ার নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন তালিকা চাইলে আমরা তা সরবরাহ করি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক চক্রান্ত করে আমাদের ৬ জনের নাম না দিয়ে আবারও নিজের পক্ষের লোকজনের নাম ঘোষণা করেন। এতে জেলা বিএনপি মহাসংকটের মুখে পড়েছে। কোন্দল সৃষ্টির মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি থেকে সিলেট জেলা বিএনপিকে বাঁচাতে এখন প্রয়োজন কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ।
সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট আশিক উদ্দিন ছাড়াও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, আহমেদুর রহমান চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, ইশতিয়াক সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন ও মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।