শিশু অগ্রাসন নিরোধ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৩, ৫:৩২:৩০ অপরাহ্ন

বন্ধু হচ্ছে দুটি হৃদয়ের একটি অভিন্ন মন। -সক্রেটিস
আজ দেশে পালিত হচ্ছে শিশু আগ্রাসন নিরোধ দিবস। আগ্রাসনের শিকার নিরীহ শিশুদের স্মরণে এই আন্তর্জাতিক দিবসটি পালিত হয়ে আসছে ১৯৮৩ সাল থেকে। বিশ্বজুড়ে সংঘটিত বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসন ও পীড়নের শিকার শিশুদের স্মরণ করতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এই দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশুদের সম্পর্কে সবাইকে জানাতে, তাদের অধিকার আদায়ে সচেতন হতে, বিশ্বব্যাপী শারীরিক, মানসিক, আবেগময় নির্যাতনের শিকার সব শিশুর জন্য জাতিসংঘ এই দিবস পালন করে।
দিনটি প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৮২ সালের ১৯শে অগাস্ট। ওইদিন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সপ্তম অধিবেশনে ফিলিস্তিনের দাবির ওপর বিবেচনা করে আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে প্রতি বছর চৌঠা জুন স্মরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই দিবসটি মূলত লেবাননের যুদ্ধে শিশুদের ভয়াবহ অবস্থাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হয়। সে বছর লিবিয়ার যুদ্ধে বৈরুতে ইসরায়েলের হানাদার বাহিনীর বিমান আক্রমণে লিবিয়া ও প্যালেস্টাইনের ৬০ জন নির্দোষ শিশু নিহত হয়। এই ঘটনাকে স্মরণ করতে জাতিসংঘের সাধারণ সভা এ দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ দিনে সারা পৃথিবীতে যত শিশু-কিশোর যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদী আগ্রাসনের শিকার হয়েছে তাদের সবাইকেই স্মরণ করা হয়। লিবিয়া ও প্যালেস্টাইনের ঘটনার পর আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা সারা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বেসলানে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে বন্দি হয়েছিল একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। সন্ত্রাসবাদীরা সেখানে বর্বর হত্যাকা- চালায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, পৃথিবীজুড়ে শিশু-কিশোররা নানা রকম আগ্রাসনের শিকার হয়। এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশেই নিরীহ শিশুরা অনাহার, এইডস, অশিক্ষা ও যুদ্ধের শিকার হয়ে মারা পড়ছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় কম উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পরিমাণ দ্বিগুণ। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সংঘটিত যুদ্ধ ও ধ্বংসাত্মক ঘটনাগুলোতে শিশুদের জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন জরিপে জানানো হয়, সারাবিশ্বে প্রায় ৫ কোটি শিশু যুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদীদের আগ্রাসনের শিকার। এসব শিশু গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এরা নিজ আবাসভূমি ছেড়ে অন্যত্র বাস করতে বাধ্য হয়েছে, যার মূল কারণ হলো যুদ্ধ। বিভিন্ন যুদ্ধে মারা গেছে আরও ২ কোটি শিশু। বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশের শিশুরা বসবাস করছে ছয় কোটি স্থল মাইনের বিস্ফোরণের ঝুঁকির মধ্যে। প্রতি বছর অন্তত ১০ হাজার শিশু শিকার হচ্ছে এসব স্থল মাইনের।
বাংলাদেশেও শিশুরা নানাভাবে আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। এখানে শিশুদের একটা বড় অংশ পথে বড় হচ্ছে। এরা শিকার হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের। আছে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, শিশু পাচার ইত্যাদি। তাই আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশুদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশসহ সব দেশের সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের এগিয়ে আসা উচিত। শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশও এই সনদে স্বাক্ষরকারি এ