সোনালী আঁশের অতীত-বর্তমান
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ৭:০৮:১০ অপরাহ্ন

মো. দিলওয়ার হোসেন বাবর
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের পাশাপাশি নানাবিধ অর্থকরী ফসলও উৎপাদিত হয়ে থাকে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎসও বটে। বিভিন্ন প্রকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলোর মধ্যে অন্যতম অর্থকরী ফসল হচ্ছে পাট। এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের জন্য ইহা বাংলাদেশে স্বর্ণতন্তু বা সোনালী আঁশ নামেও পরিচিত। সোনালী আঁশখ্যাত এই পাটের জন্য এক সময় আমাদের বাংলাদেশ সারা বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত ছিল। অতীতে সোনালী আঁশখ্যাত এই পাট ছিল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সর্বাপেক্ষা বড় ও গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বর্তমানেও এই পাট বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের স্থান দখল করে আছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে মোট ১৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টন পাট উৎপন্ন হয়। এই পরিমাণ পাট বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৪২ শতাংশ। অর্থাৎ উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ পাটের জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
পাট বাংলাদেশের অন্যতম একটি কৃষিপণ্য হওয়ায়, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ পাট চাষের সহিত জড়িত রয়েছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ লাখ চাষী পাট চাষের সহিত জড়িত রয়েছে। দেশের মোট শ্রমশক্তির ১২ শতাংশ পাট উৎপাদনের সহিত সম্পৃক্ত রয়েছে। আরও জানা যায় যে, পাট শিল্পের সহিত জড়িত রয়েছে আরও ১ লাখ ৬২ হাজার শ্রমিক। আমাদের জিডিপিতে এই পাটের অবদান ০.২৬ শতাংশ এবং কৃষিখাতে পাটের অবদান ১.১৪ শতাংশ। সুতরাং আমাদের কৃষি সেক্টরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল পাট।
আমাদের মহাননেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, পাটের সহিত এই দেশের সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য জড়িত। তাই এই দেশের সাধারণ, কৃষিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সাধন করতে হলে পাটের উপর গুরুত্ব দিয়ে তার উন্নয়ন সাধন করতে হবে। তাই আমরা দেখতে পাই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ যখন গঠিত হয় তখন তার প্রথম মেনোফেস্টুতে এই দেশের পাটের উন্নয়নের কথা অতি গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার আদায়ের স্বার্থে যে ছয় দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করে তার পঞ্চম দফাতেও পাটের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ছয় দফার পঞ্চম দফায় ছিল, প্রদেশগুলো নিজেদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার মালিক হবে এবং এর নির্ধারিত অংশ তারা কেন্দ্রকে দিবে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর সেই ছয় দফায় পূর্ববাংলার পাট থেকে তৎকালীন সময়ের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার ন্যায্য দাবি অতীব জোড়ালোভাবে উত্থাপিত হয়েছে।
পাকিস্তান আমলে ১৯৫০ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ২৯৭ একর জমির উপর আদমজী জুটমিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৫১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম আদমজী জুটমিলে উৎপাদন কাজ শুরু হয়। তবে নারায়ণগঞ্জে নির্মিত হওয়া জুটমিল ছিল এই অঞ্চলের প্রথম জুটমিল। স্বাধীনতার পূর্বে এই অঞ্চলে মোট জুটমিলের সংখ্যা ছিল ৭৫টি।
স্বাধীনতা পরবর্তী মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই আবারও বাংলাদেশের পাট শিল্প ও পাটচাষীদের জীবনমান উন্নত করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন সাধনে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার ১৯৭২ (পিও-২৭) এর আওতায় বাংলাদেশের সকল পাটকল জাতীয়করণ করেন। তিনি ঐ সময় দেশের ৬৭টি ব্যক্তি মালিকানাধীন ও পরিত্যক্ত পাটকল তদারকি, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘বাংলাদেশ জুটমিল কর্পোরেশন’ গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু সরকার পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন পাস করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু এই আইনের আওতায় গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট।’ ১৯৭৬ সালেই বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থাপিত হয় পাটবীজ উইং। এর পরে পাটের ভিত্তিবীজ, মানঘোষিত বীজ, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকের নিকট উন্নতমানের বীজ সরবরাহের গবেষণা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালু হয়, যা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে পাট তথা কৃষি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগিতা, আন্তরিকতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় পাটের উৎপাদন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যাপকভাবে দেশের পাটশিল্প ও পাটচাষীর উন্নয়ন সাধিত হয়। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে ১৯৭২-৭৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় ছিল ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। তন্মধ্যে শুধু কাচাপাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকেই আয় হয়েছিল ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সেই সময় রপ্তানি আয়ের ৯০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রাই এসেছে পাট থেকে। সেই সময় সমগ্র বিশ্বের ৭০ শতাংশ পাটই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হত। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে যে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী (১৯৭৩-৭৮) পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল তাতে পাটশিল্পের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে নতুন করে আরও ৭টি পাটকলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল। ফলে বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে বাংলাদেশের পাটশিল্প ও পাট চাষীদের জীবনে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর এই দেশের পাটশিল্প ও লক্ষ লক্ষ পাট চাষীদের জীবনে নেমে আসে অন্ধকারের কাল ছায়া। অযত্ন আর অবহেলার শিকার হয়ে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এই খাত ধ্বংসের পথে চলে যেতে শুরু করে। ৭৫ পরবর্তী তৎকালীন সরকারগুলোর আন্তরিকতা ও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অবহেলা, সর্বোপরি নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের পাটশিল্প তার অতীত গৌরব হারাতে শুরু করে। আর এই অতীত গৌরব হারানোর গতিকে দ্রুত ও ত্বরান্বিত করেছিল সেই সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের বিকল্প হিসেবে সিনথেটিক দ্রব্যের ছড়াছড়ি ও তার ব্যবহার। ফলে তৎকালীন সরকারগুলো পাটশিল্পকে প্রতিযোগিতার হাত থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয় কৌশল তৈরি না করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অনেক পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে তৎকালীন সরকার কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ঐ সময় পাটের বস্তার পরিবর্তে দেশে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। এমনকি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পলিথিনের উৎপাদন শুরু হয়। এই ভাবে এক দিকে অযত্ন আর অবহেলা, অন্যদিকে পাটের উৎপাদন ও ব্যবহার কমে যাওয়ার ফলে দেশের লাভজনক পাটশিল্প লোকসানের মুখে পতিত হয়ে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হতে থাকে। এমতাবস্থায় ২০০২ সালের ৩০ জুন ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা লোকসানের অজুহাতে তৎকালীন সরকার বন্ধ করে দেয় এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী জুটমিল। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ৩২ হাজার স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিক চাকুরি হারায়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে শুরু করে।
১৯৯৬ সালে বাংলার জনগণের রায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া ও তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দীর্ঘ ২১ বৎসর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে এদেশের পাটশিল্প ও পাটচাষীদের কল্যাণে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে পুনরায় এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে আমাদের পাটশিল্প ও পাটচাষীদের জীবনের উন্নয়নের সুবাতাস বইতে শুরু করে। তিনি দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত পাটশিল্পের উন্নয়নে নানাবিধ যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের কাজে হাত দেন। ফলে পাটশিল্পে নবদিগন্তের সূচনা হয়। তিনি পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের উপর গুরুত্বআরোপ করেন এবং বিভিন্ন প্রকার দেশীয় পণ্য প্যাকেটজাত ও বাজারজাতকরণে পাটের ব্যবহার আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করেন। শেখ হাসিনা তার শাসন আমলে তারই অনুপ্রেরণা ও ঐকান্তিক চেষ্টায় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা-২০১৩ প্রণয়নের ব্যবস্থা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চকে ‘জাতীয় পাট দিবস’ ঘোষণা করেন।
এছাড়াও পাট খাতের উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম, পাটবীজ আমদানিতে নির্ভরশীলতা হ্রাস, পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, প্রচলিত ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখার জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর ৬ মার্চ উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতা, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী ২০১৩ সালে সোনালী আঁশ পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কার করেছেন। আমরা আশা করি আমাদের দেশের মেধাবী বিজ্ঞানীরাও এই উদ্বাভনকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করবে। তাছাড়া আমাদের মানিকগঞ্জের কৃতি সন্তান ড. মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক পাট থেকে পাটের পলিব্যাগও আবিষ্কার করেছেন। আমাদের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাগের নামকরণ করেছেন ‘সোনালী ব্যাগ’।
আমাদের পাট ও পাটশিল্পের উন্নয়ন ও তার অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখার জন্য দেশের ৬টি পণ্য যেমন- ধান, গম, চাল, ভুট্টা, চিনি এবং সার মোড়কীকরণে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি আরও ১২টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটজাত পণ্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার মানসম্পন্ন পাট উৎপাদন, পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, পাটপণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, পাট পণ্যের বহুমুখীকরণ, পাটকলের আধুনিকীকরণ, এই পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘জাতীয় পাটনীতি ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। সরকারের এই সকল নীতি ও কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে ও বিদেশে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বহুগুণে বৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বে গাড়ি নির্মাণ, পেপার এ্যান্ড পাম্প ইনস্যুলেশন, শিল্পে ফুটওয়ার, উড়োজাহাজ, কম্পিউটারের বডি তৈরি, ইলেকট্রনিকস, মেরিন ও স্পোর্টস শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে পাটকাঠি আজ কেবল গ্রামগঞ্জে জ্বালানী ও ঘরের বেড়ার কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে নাম, বর্তমানে পাটকাঠি থেকে বিশেষত্ব প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হচ্ছে উচ্চমূল্যের এ্যক্টিভেটেড চারকোল বা ছাই, যা জ্বালানী হিসেবে এবং ফটোকপি মেশিনের কালি ও কাগজ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমরা আশা করি বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় আমাদের বর্তমান পাটশিল্প তার উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রেখে আরও সামনের দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে। পাটের মাধ্যমে আমাদের রপ্তানি আয় আরও বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি পাটশিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে পাটচাষীদের মুখে হাসি ফুটবে এবং দেশ-বিদেশে পাটের হৃতগৌরব ও পরিচিতি আবারও ফিরে আসবে।
লেখক : কলামিস্ট।