হাওরে উড়াল সেতু : বদলে যাবে দৃশ্যপট
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ৫:১২:১৭ অপরাহ্ন

মো. দিলওয়ার হোসেন বাবর
ভাটি বাংলার সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রান্তিক ও সীমান্তবর্তী জেলা। হাওর ও জলাশয় বেষ্টিত এই সুনামগঞ্জে রয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ লোকের বসবাস। রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কপথ ব্যতিত যোগাযোগের আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের দৃশ্য অকল্পনীয়ভাবে পাল্টে গেলেও ওই অঞ্চলে আজও সেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। উন্নয়নের অবকাঠামো বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে এই জেলাটি এখনও উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে সেই তিমিরে থেকেই দিন কাটাচ্ছে।
‘বর্ষায় নাও, হেমন্তে পাও’ এই কথাটি সুনামগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্ষাকালে এখানে চারদিকে অথৈই পানি থৈ থৈ করে। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। হাওরের পর হাওর, আর সেই হাওরের পানির দিকে তাকালে সাগরের মত মনে হয়। হাওর মানেই ছোট ছোট গ্রাম। অথৈ পানির উপর গ্রামগুলো যেন কচুরিপানার মত ভাসতে থাকে। দূর থেকে দেখে প্রতিটি গ্রাম মনে হয় একেটা দ্বীপপুঞ্জ : এই সময় গ্রাম থেকে গ্রাম, অথবা গ্রাম থেকে উপজেলা বা জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অধিকাংশ এলাকার মাধ্যমই হচ্ছে একমাত্র নৌকা। এই নৌকায় চলাচল একদিকে যেমন সময় বহুল, ব্যয়বহুল অন্যদিকে তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আবার নৌপথে চলাচল করে লঞ্চ বা ইঞ্জিনবোট। অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচন্ড ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই নৌকা বা লঞ্চ ডুবির মত ঘটনাও ঘটে থাকে। এই দুর্বিষহ ও ঝুকিপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়েই এই এলাকার মানুষ সুদূর অতীতকাল থেকেই বসবাস করে আসছে।
হেমন্তকালে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পায়ে চলা মেঠোপথ। এক গ্রাম থেকে অন্যগ্রাম, গ্রাম থেকে ইউনিয়ন অফিস, উপজেলা সদর, হাট বাজার, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজে আসা যাওয়া, চিকিৎসা সেবা সকল কাজেই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে মেঠোপথ। কোথাও কোথাও সাবমর্জিবল রোড দিয়ে মটর সাইকেল, রিক্সা বা অটোরিক্সা চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত। জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ করে মুমূর্ষ রোগী নিয়ে অত্র জেলার সাধারণ মানুষকে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক সময় রাস্তাতেই জটিল রোগীদের প্রাণ হারাতে হয়।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন হাওরবান্ধব নেত্রী। তিনি দেশের হাওরাঞ্চর, চরাঞ্চল, দ্বীপাঞ্চল ও পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে সর্বদাই ভাবেন। তাই ঐ সকল এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করে জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য নানাবিধ প্রকল্প প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশের সীমান্তবর্তী, প্রত্যন্ত ও অনুন্নত এলাকাসমূহে উন্নয়নের আধুনিকতার ছোঁয়া লাগিয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি সমতা ও সামঞ্জস্যতা আনয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বর্ষাকালে ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় বিচ্ছিন্ন জনসমষ্টির মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করে জীবন যাত্রাকে সহজ ও আধুনিক করার নিমিত্তে হাওরের উপর দিয়ে উড়াল সেতু তৈরি করার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং এই কাজে অনক দূর এগিয়েও গিয়েছে। তাছাড়াও এই সমস্ত এলাকায় তৈরি করা হবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাবমার্জিবল রোড, ব্রীজ ও কালভার্ট। এই উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলের অন্যতম জনপদ সমৃদ্ধ সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলাকে ঘিরে ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে এগুচ্ছে।
এই প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে এই প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। কার্যাদেশ পাওয়ার পরপরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সাথে প্রতিটি উপজেলা সদরের যেমন সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে ঠিক তেমনিভাবে পার্শ্ববর্তী অপর হাওর বেষ্টিত জেলা নেত্রকোণার সাথেও সুনামগঞ্জের সরাসরি সড়ক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে ভাটি এলাকার হাওরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত ঝুঁকিপূর্ণ ও সেকেলে। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত মাটির তৈরি গ্রামীণ ডুবন্ত সড়ক যা কেবল শুষ্ক মৌসুমেই ব্যবহার করা যায়। বর্ষাকালে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌ-পরিবহন। যা অনেকাংশে প্রকৃতির মেজাজ মর্জির উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতির মেজাজ একটু প্রতিকূল বা রুক্ষ হলেই নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এখন মানুষ প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে এবং তখন এক রকম গৃহবন্ধী জীবন যাপন করে।
এই ধরনের অনুন্নত ও ঝুঁকিপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে কৃষি নির্ভর পল্লী এলাকায় কৃষিপণ্য উৎপাদন ও পরিবহন, গ্রামীণ এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বিভিন্ন প্রকার সামাজিক সুবিধাদির প্রাপ্যতা, গ্রামীণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রভৃতি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে গ্রাম পর্যায়ে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিকভাবে সংঘটিত হচ্ছে না এবং ঐ সমস্ত জনপদের মানুষও আধুনিক ও উন্নত জীবন যাত্রায় স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাওর অঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পশু পাখি। তাই হাওর এলাকায় জীববৈচিত্র্য ঠিক রেখে টেকসই উন্নয়ন অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফি ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) এক বছর ব্যাপী সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় হাওর এলাকায় ১৭০ কি.মি. সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭.৮৬ কি.মি. অল সিজন (উঁচু বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা সড়ক, যা সব মৌসুমেই ব্যবহার করা যায়) উপজেলা সড়ক, ২০.২৭ কি.মি. অল সিজন ইউনিয়ন সড়ক, ১৬.৫০ কি.মি. সাবমার্জিবল (বর্ষায় তলিয়ে যাবে, শুষ্ক মৌসুমে যান চলাচল করবে) উপজেলা সড়ক এবং ২২.৮৬ কি.মি সাবমার্জিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক নির্মাণ। তাছাড়া থাকবে ১০.৮১ কি.মি. এলিভেটেড (উড়াল) সড়ক। আরও ৫৭টি বীজ্র ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এতে মোট দৈর্ঘ্য হবে ৫ হাজার ৬৮৮ মিটার। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে সরকারের ৮ম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রাম, ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, গ্রোথ সেনআর ও বাজার উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ের উপর বেশি করে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে বিধায় প্রকল্পটি ঐ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলের এলাকায় অবস্থিত সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা দুইটি হাওরবেষ্টিত ও পাশাপাশি এলাকা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বৎসরেও এই দু’টি জেলার মধ্যে এখনও কোন সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। এই এলাকার মানুষকে আজও সুনামগঞ্জ-সিলেট হয়ে রাজধানী ঢাকা শহরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। তাছাড়া ময়মনসিংহ যেতে হলেও একই পথে ব্যবহার করতে হয় তাই এই দুই অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের জন্য বর্তমান সরকারের অতিরিক্ত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জের সাথে নেত্রকোণা তথা ময়মনসিংহ এর সাথে সড়ক পথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়াসে এই উড়াল সেতু তৈরি করা হচ্ছে। বিশাল জলরাশি সমৃদ্ধ হাওরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করে তা প্রকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা খুবই কঠিন কাজ। এই ব্যাপারে দেশের প্রকৌশলীরাও একমত। তাছাড়া আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও হাওরের প্রাণী ও জীববৈচিত্রের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপারে খুবই সচেতন ও আন্তরিক। তার মতে হাওর এলাকার ভারসাম্য, জীববৈচিত্র ও প্রাণীবৈচিত্র ধ্বংস করে কোন প্রকার অবকাঠামো তৈরি বা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করা যাবে না। তাই হাওর এলাকায় অল সিজন সড়ক তৈরী না করে তাঁরই নির্দেশানুসারে উড়াল সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়াও উড়াল সড়কের যানবাহনের শব্দ থেকে হাওরের প্রাণী বৈচিত্রের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই জন্য হাওর এলাকায় শব্দ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার সাথে বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলা তথা নেত্রকোণা-ময়মনসিংহের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। ফলে স্বল্প সময় ও খরচে সুনামগঞ্জের মানুষ নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকায় আসা যাওয়া করতে পারবে। তাছাড়া চলাচলের ক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণও কমে আসবে।
সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক তৈরিকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর পাড়ের মানুষের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্র এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়ে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। জীবনযাত্রায় সাধিত হবে এক অভাবনীয় পরিবর্তন। এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটনের ক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এই এলাকায় গড়ে উঠবে এক নতুন পর্যটন কেন্দ্র। বদলে যাবে হাওরাঞ্চলের চিরচেনা রূপ ও পাল্টে যাবে এই এলাকার দৃশ্যপট। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল তথা বিদেশ থেকেও আগত প্রকৃতিপ্রেমিরা অতি সহজে ও অল্প সময়ে সুনামগঞ্জে প্রবেশ করে হাওরের বুক চিড়ে তৈরি হওয়া উড়াল সেতু ও মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য দলে দলে ছুটে আসবে। চারিদিকে অথৈ পানি থেকে উত্থিত উত্তাল তরঙ্গমালা ও তার নৃত্য দেখে তারা মুগ্ধ হবে এবং স্বার্থক হবে তাদের দু’নয়ন। হাওরের মাঝখানে উড়াল সেতুতে নীল আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা আনমনে চেয়ে থাকবে হাওরের অথৈ জলরাশির দিকে। উপরে নীল আকাশ ও নীচের হাওর জলের মিতালীতে যে নতুন আবহের সৃষ্টি হবে তা সত্যিই হবে মনোরম ও উপভোগ্য। পড়ন্ত বিকেলে শিরশিরে দক্ষিণা বাতাসে উড়াল সেতুর উপর দাঁড়িয়ে ডুবন্ড সূর্যের পাঠে বসার দৃশ্য পর্যটকদের সত্যিকার বিমোহিত করে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওরপাড়ে উড়াল সেতুর দুই পাশের পর্যটন এলাকাকে ঘিরে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে থাকার জন্য নির্মিত হবে অনেক হোটেল-মোটেল। হাওরের বুকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তৈরি হবে নানা আকৃতি ও প্রকৃতির রং বেরঙের নৌকা, স্পীড বোটসহ নানা প্রকারের আকর্ষণীয় জলযান। এলাকার বেকার মানুষগুলো এখানে পাবে নতুন নতুন কাজ। ফলে এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে তৈরি হবে কৃষি কাজের বিকল্প কর্মসংস্থান। যা অত্র এলাকার মানুষের মাঝে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের নতুন মাত্রা। ভাটি এলাকার মানুষ বসে আছে সেই দিনের প্রত্যাশায়।
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।