৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কানাইঘাটে মঈনকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৪৯:১১ অপরাহ্ন
কানাইঘাট (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১ম খন্ড (সিঙ্গারীপার) গ্রামে নিহত মঈন উদ্দিনকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে দেয়া হয়। নারী ঘটিত বিষয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামী করে গতকাল বুধবার কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত মঈন উদ্দিনের পিতা শফিকুল হক। মামলায় গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলিম উদ্দিন, তার ভাই আলী হোসেনসহ পরিবারের ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে বাউরভাগ ১ম খন্ড (সিঙ্গারীপার) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে মঈন উদ্দিনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মঈন উদ্দিন প্রায়ই একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলী হোসেনের বসত বাড়িতে যাতায়াত করতেন। আলী হোসেনের স্ত্রী মমতা বেগমকে মঈন উদ্দিন ভাবি বলে ডাকার সুবাদে তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। একপর্যায়ে আলী হোসেনের ভাগ্নি তানিয়া বেগমের সাথে মঈন উদ্দিনের সখ্যতা গড়ে উঠে। আলী হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি। তারা মঈন উদ্দিনকে তাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করে এবং তানিয়া বেগমের সাথে কথা না বলার জন্য হুমকী দেয়। মঈন উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে সম্প্রতি তাকে আলিম উদ্দিন ও তার ভাই আলী হোসেন হত্যার হুমকি দেয়। গত সোমবার রাতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ফোন দিয়ে একই গ্রামের মারজানের বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। সেখানে মঈন উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার লাশ গ্রামের সাধন দাসের বাড়ির পাশের্^ ক্ষেতের মাঠে ফেলা রাখা হয়। থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, মমতা বেগম ও তানিয়া বেগমের সাথে মঈন উদ্দিনের সখ্যতা থাকার কারণেই এ হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছে। তানিয়া বেগমের বাড়িতে মঈন উদ্দিনকে কৌশলে ডেকে নিয়ে সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হত্যা করার পর পাশর্^বর্তী ধান ক্ষেতের মাঠে তার লাশ ফেলে দেয়া হয়। এ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার দায়ে এজাহার ভুক্ত আসামী আলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।