সুনামগঞ্জ শহরের অস্তিত্ব সংকট
সাতটি খাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, মেয়রসহ ১৩ ব্যক্তিকে নোটিশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:০৪:১৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সুনামগঞ্জ শহরে দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়া এমন সাতটি খাল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌরসভার মেয়রসহ ১৩ ব্যক্তিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বেলার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট এস হাসানুল বান্না গত বৃহস্পতিবার ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল, কামারখাল, বলাইখালী খাল, ধোপাখালী খাল, নলুয়খালীখাল ও গাবরখালী খালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব খাল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রতিকার চেয়ে যাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ-১) নির্বাহী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
বেলার সিলেট বিভাগের সমন্বয়কারী এডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এসব খাল উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করেছি, দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার কারণেই এই আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, এক সময় ৭টি খালেই নৌকা চলাচল করত এবং শহরের পানি নিষ্কাশনে অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল। দেশের অন্যান্য নদী-খালের মতো এ খালগুলো দখল হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। কামারখালসহ অন্যান্য দখলকৃত খাল দখলমুক্ত করতে স্থানীয় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানায়, অদ্যাবধি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতে এলাকাবাসীও কার্যকর কোনো প্রতিকার পাননি। কামারখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল ও বলাইখালী খাল দখল করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা, রাস্তা ও বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে খালগুলো সরু নালায় পরিণত হয়েছে। দখলের কারণে কোথাও কোথাও খালগুলো প্রায় নিশ্চিহ্ন। এতে শহরের পানি নিষ্কাশন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শহরের জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। বেলার প্রতিনিধিদল সরেজমিন এ চিত্র দেখেছে।