ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ জানে সেই সরকারকে কীভাবে উৎখাত করতে হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
দেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, আমাদের প্রতিটি ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। আপনারা কেউ গুজবে কান দেবেন না। একটা শ্রেণি গুজব ছড়াচ্ছে। তারই ফলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা চোরের সঙ্গে সখ্য কি-না জানি না।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সকালেও একটার উদ্বোধন করলাম। জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। যারাই বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের জায়গা ও নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি।
বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার পেটুয়াবাহিনী সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। ঢাবিতে রাতের অন্ধকারে ভিসিকে সরিয়ে নতুন আরেকজনকে বসিয়ে দিয়ে ভিসির পদটাও দখল করে নেয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষকসহ বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করে। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে সারা বাংলাদেশ ছিল নির্যাতিত। শুধু ক্ষমতায় থাকলেই না, ক্ষমতার বাইরে থেকেও অগ্নিসন্ত্রাসের কথা সবার জানা। ২০১৩-১৪ সালে প্রায় তিন হাজার মানুষকে দগ্ধ করেছে তারা। বাস, লঞ্চ রেল কোনো কিছুই তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোট চুরি করলে মানুষ ছেড়ে দেয় না-এটা খালেদা জিয়ার মনে থাকা উচিত। আমাদের অপবাদ দেওয়া হয়-ভোট চুরির। আমরা ভোট চুরি করতে যাবো কেন? জনগণ স্বতঃফূর্তভাবে আমাদের ভোট দেয়। ভোট চুরি, ভোট কারচুপির কালচার কে দিয়েছে? জিয়াউর রহমান। হ্যাঁ, না ভোট দিয়ে জনগণের ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে। না ব্যালট পাওয়া যায়নি। সব হ্যাঁ ভোট ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে ছাত্রদলই যথেষ্ট। এর প্রতিবাদে আমি ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, শিক্ষা শুধু নিজেরাই গ্রহণ করবে না, গ্রামে গিয়ে নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষা দেবে। তারা সেটিই করেছে। আমাকে রিপোর্টও দিয়েছে। আমাদের পেটুয়া বাহিনী লাগে না।
সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিটি আন্দোলনে শহীদের তালিকা যদি দেখি, সেখানে ছাত্রলীগের শহীদের তালিকাই বড়। ৭৫-এর পর জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে। প্রতিবাদকারী হাজারো সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর অফিসারদের জিয়াউর রহমান যেমন হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে ছাত্রলীগের নেতা সেই বাবুসহ অনেককে গুম করে নিয়ে গিয়েছে। তাদের পরিবার লাশও পায়নি। এভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে।