হাসপাতালে থাকবে না ওষুধের অভাব
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন
ওষুধের অভাব থাকছে না দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে। এই ধরণের একটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগ সফল হলে রোগিদের হাসপাতালের বাইরে থেকে আর কোন ধরনের ওষুধ কেনার প্রয়োজন পড়বে না। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়- সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি আধুনিকায়নের মাধ্যমে জীবন রক্ষাকারি সব ধরণের ওষুধ তৈরি করা হবে। আর তখন সরকারি হাসপাতালগুলোতে চাহিদার শতভাগ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এসব ওষুধের উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি হাসপাতালে রোগিরা বিনামূল্যে ওষুধ পাবে, সেবা পাবে-মোটামুটি এরকমই একটা বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে আমাদের পবিত্র সংবিধানে। কিন্তু এটা সংবিধানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ ও সেবা পাওয়া রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। বরং হাসপাতালে যে পরিমাণ হযরানি করা হয় রোগিদের, তার সীমা পরিসীমা নেই। সার্বিক অবস্থায় এটাই বলা যায়, সুচিকিৎসা পাওয়া দেশের নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার হলেও দেশের মানুষ সুচিকিৎসা দূরের কথা, আদৌ চিকিৎসা কি পাচ্ছেন? সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আর দালালদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে রোগিদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালে রোগিদের বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। গবেষণার তথ্য হচ্ছে, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাত্র তিন শতাংশ রোগী ওষুধ এবং ১৫ শতাংশ রোগি পরীক্ষা-নিরীক্ষা পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ সরকারি হাসপাতাল থেকে সেবা গ্রহণকারী ৯৭ শতাংশ রোগিকে টাকা খরচ করে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হয় এবং ৮৫ শতাংশ রোগিকে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক ল্যাব থেকে সেবাগ্রহণ করতে হয়। হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকার থেকে যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়, সেগুলো পাওয়া যায় বিভিন্ন ফার্মেসিতে। হাসপাতালের অসাধু কর্মচারিরা এসব ওষুধ দালালদের কাছে বিক্রি করে। আর দালালদের হাত ঘুরে চলে যায় বিভিন্ন ওষুধের দোকানে।
ওষুধ নিয়ে এই যে অনাচার চলছে, এটা বন্ধ করতে হবে। জানা যায়, দেশের বড় বড় সরকারি হাসপাতালে রোগিদের কিছু কিছু ওষুধ দেওয়া হলেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তাও রোগিদের দেওয়া হয় না। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দরিদ্র রোগিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে। আর সেটা করতে হলে শতভাগ ওষুধ সরবরাহ করার পাশাপাশি সব হাসপাতালে ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।