সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার
চাল-ডালের বস্তায় বিএনপি কার্যালয়ে ককটেল এসেছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ‘বিএনপি নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চাল-ডালের বস্তায় ভরে ককটেল নিয়ে এসেছে’ এমন খবরে বিকেলে থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্পেশাল ওয়েপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (সোয়াত) অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকার পরিস্থিতি কতোখানি খারাপ? যে কারণে পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াতকে রাইফেল হাতে রাস্তায় নামতে হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিয়ে? সাধারণত, বিশেষ কোনো অভিযানে বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের নামানো হয়। এমনকি হলো? সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার জানান, আমরা শুনেছি ওইখানে (বিএনপি কার্যালয়ে) অনেক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। বিএনপি অফিস থেকে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। ওইখানে খাবার-দাবার, চাল-ডাল, লাঠি-সোঁটা বিভিন্ন কিছু জমা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আমাদের পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। গতকাল ছিল একটা অফিশিয়াল ডে। কোনো পূর্বানুমতি নেই, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ। পল্টনে তারা রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করবে এটা তো কাম্য নয়।
ককটেলের বিরুদ্ধে কী এম-১৬ ব্যবহার বা এম-১৬ এর শোডাউন করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ককটেল শুধু নয়, সামগ্রিক নাশকতার বিরুদ্ধে এম-১৬ ব্যবহার করা হয়েছে।’
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যেকার সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘এ রকম তথ্য আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। আমি একটা মিটিং এ ছিলাম। খোঁজ নিতে হবে।’
এমন পরিস্থিতিতে ডিএমপি ১৪৪ ধারা জারি করেনি কেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখনো সময় আছে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদি তারা সিদ্ধান্ত বদল করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে যান। আর তারা যদি বলে আমরা সমাবেশ করতে যাব না। তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
ভিডিও ফুটেছে দেখা যাচ্ছে যে, পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় গিয়ে আক্রমণ করেছে এই জিনিসটা কেন করা হলো জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনি ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন আমি এখনো ভিডিও ফুটেজ দেখিনি। তাহলে আমি যতটুকু জানি উনাদের সমাবেশ ১০ ডিসেম্বর। অফিশিয়াল ডে’তে তারা নয়াপল্টনের রাস্তা দখল করে সমাবেশ করছেন। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে তারা ওইখানে জমায়েত হবেন তারা সেখানে সমাবেশ করবেন এটা ঠিক নয়, আমি মনে করি তারা আইন অনুযায়ী কোনো কাজ করেনি।’
এ ছাড়া আইন অমান্য করে যদি বিএনপি রাস্তায় সমাবেশ করতে চায় তাহলে, তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন ডিএমপি কমিশনার। সেই সঙ্গে খোলা মাঠে সমাবেশে করতে চাইলে মিরপুরের কালশীতে একটি মাঠের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। যদিও গত কয়েক দিন বিকল্প মাঠ হিসেবে কালশীর এই মাঠ আলোচনায় ছিল না।