বিজয়ের মাসে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:০২:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। আর পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে বাড়ি ফিরার প্র¯ুÍতি দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তানের। একের পর এক মুক্ত হচ্ছে অঞ্চল। এদিকে, ভারত মহাসাগরের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর পাঠানোর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই সোভিয়েত ইউনিয়ন সচকিত হয়ে ওঠে। গোপনে তারা ভূমধ্যসাগরীয় নৌবহরকে দ্রুত ভারত মহাসাগরের দিকে অগ্রসরমান সপ্তম নৌবহরকে অনুসরণ করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আফ্রিকা ও জাপান থেকেও সাবমেরিন তেলবাহী জাহাজকে ভারত মহাসাগরে পৌঁছাতে নির্দেশ দেয়া হয়। ভারত মহাসাগরে অবস্থানরত ৩টি স্পেস সাপোর্ট গোয়েন্দা জাহাজকে সদাসতর্ক থেকে সার্বক্ষণিক ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়। এছাড়া আরব সাগরে অবস্থিত সোভিয়েত গোয়েন্দা নৌবহরকে ব্রিটিশ রণতরীর দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়।
এসব খবর জানতে পেরে ড. হেনরি কিসিঞ্জার তাৎক্ষণিকভাবে টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে অবহিত করেন। তারা উভয়ই এ অবস্থায় আশাবাদী হন যে, হয়তো শেষ মুহূর্তে চীন একটা কিছু করবে। কিন্তু রাশিয়ার সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দারা চীনের নীতিনির্ধারকদের বোঝাতে সক্ষম হন যে, এটা শুধু পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ নয়। এটা মানবতাবিরোধী পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একতরফা গণহত্যা। তাছাড়া, ভারত শুধু গণহত্যা প্রতিরোধ করতে সামরিক শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারকে সহায়তা করছে মাত্র। ওই দেশটি দখলে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা ভারতের নেই। ডিসেম্বর মাসের এ পর্যায়ে এসে একদিকে জাতিসংঘের মাধ্যমে চলছে যুদ্ধ ও পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের নানা কূটনৈতিক তৎপরতা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত হচ্ছে এবং মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর আক্রমণের তোড়ে পাক হানাদার বাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে পিছু হটতে হটতে ঢাকায় এসে সমবেত হচ্ছে।