আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল লাইনের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দুর্ভোগ ॥ গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়
হালকা বৃষ্টির পর সিলেটে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল সোমবার সকালে হালকা বৃষ্টির পর সিলেটে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। বৃষ্টির কারণে নগরীতে দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এ কারণে নগরীর আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল লাইনের গ্রাহকদের দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে এই বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সিলেটে এই বৃষ্টি আজ মঙ্গলবারও কিছুটা থাকবে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৬২ দিন পর জেলায় সোমবার সকাল ছয়টার পর বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস ৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। সিলেটে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নগরীর বাসিন্দারা জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় হলেও সিলেটে এবার শীতের তীব্রতা ছিল কম। তবে সোমবারের বৃষ্টির পর এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেড়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সোমবার সকালে যে বৃষ্টি হয়েছে সেটির পূর্বাভাস ১০ দিন আগেই জানা গিয়েছিল। পুরো জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে সেটি জেলার সব জায়গায় হওয়ার সম্ভাবনা কম। এলাকাভেদে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি শেষে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য এ কর্মকর্তার।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-এর একটি সূত্র জানায়, সোমবারের বৃষ্টির কারণে ১১ হাজার কেভি (আন্ডারগ্রাউন্ড) বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে আম্বরখানা থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত এলাকার গ্রাহকরা ছিলেন বিদ্যুৎহীন। আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের পশ্চিম প্রান্তের গ্রাহকরা ২/৩ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ পেলেও পূর্ব প্রান্তের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ আরবি কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মোস্তফা জামাল টিটু জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি তার ব্রোকারেজ হাউজে গতকাল কোন লেনদেন করতে পারেননি। বিদ্যুৎহীনতার কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্যেও বিঘ্ন ঘটে বলে জানান তিনি।
একই মার্কেটের ম্যানেজার জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেনারেটরের ডিজেল বাবদ তাদের ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এদিকে, শীত বাড়ার সাথে সাথে গরম কাপড়ের দোকানেও ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছেন। সোমবার নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজারসহ অন্যান্য এলাকার গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।