৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ কিলোমিটার খনন করা হবে
চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে সুরমা নদী খনন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ৯:৫০:৩৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সিলেট নগরীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে অবশেষে শুরু হচ্ছে নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদী খননের কাজ। ইতোমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে। সুরমার ১৮ কিলোমিটার খননের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা ।
একটি প্রতিষ্ঠান খননের ড্রেজারসহ সরঞ্জামাদি নিয়ে পৌঁছেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই খনন কাজ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এলাকার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম।
২০২২ সালের মে ও জুনে বন্যার নতুন রূপ দেখেছেন সিলেট নগরীর মানুষ। সুরমা নদীর পানি কোথাও তীর উপচে আবার কোথাও নগরীর পয়ঃনিষ্কাশনের যে নয়টি বড় খাল রয়েছে, তা বেয়েই পানি ঢুকতে শুরু করে নগরীতে। সে সময় নগরীর এক-তৃতীয়াংশ এলাকার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েন।
প্রবল এই বন্যার সময় বেশকিছু কারণ খুঁজে বের করেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে প্রধান কারণ ছিল সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে পানির ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া, নদীর দুই তীরে শহর রক্ষা বাঁধ না থাকা, নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে চলা নয়টি খাল ময়লা-আবর্জনা আর পাহাড়ি বালিতে ভরাট হয়ে যাওয়া। বন্যার ভয়াবহতায় করণীয় ঠিক করতে গত বছরের ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সফর করেন।
সে সময় সিলেট সার্কিট হাউজে এসব বিষয়ই তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দুই তীরে শহর রক্ষাবাঁধ ও খালগুলোয় স্লইস গেট নির্মাণের প্রস্তাবনা তুলে ধরে বরাদ্দ চাওয়া হয়। বন্যার পর পেরিয়েছে ৫ মাস। আরও ৫ মাস পর আবারও বন্যার মৌসুম। কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে বন্যা মোকাবিলার, তা খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, সমস্যাগুলোর মধ্যে যেটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তা হলো সুরমা নদী খননে।
এ বিষয়ে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এলকার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম জানান, সুরমা নদী কানাইঘাট থেকে ছাতক পর্যন্ত খননের জন্য তারা আগেই একটি ডিপিপি জমা দিয়েছিলেন। সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তবে, গত বন্যার পর শুধু নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা সুরমার ১৮ কিলোমিটার খননের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে কুচাই থেকে লামাকাজি পর্যন্ত কোথাও ২০ ফুট আবার কোথাও ১৫ ফুট খননের ডিজাইনসহ কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ড্রেজার আসছে, চলতি সপ্তাহেই কাজ শুরু হবে।
বন্যা মৌসুমের আগে কাজ শেষ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মার্চের মধ্যেই খননকাজ শেষ করার কথা।