জকিগঞ্জের তানিয়া হত্যা মামলা ২২ দিনেও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত কালন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১:৪৪:৩০ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জকিগঞ্জে মেধাবী ছাত্রী তামান্না আক্তার তানিয়া হত্যার ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও দায়েরকৃত মামলার আসামী কালন আহমদকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে সঠিক বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার কথা বলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে নিহত তানিয়ার পরিবার। একই সঙ্গে জড়িত কালনকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
নিহত তানিয়ার বাবা জামাল উদ্দিনের অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তার মেয়ে তানিয়া ১৯ জুলাই সকালে স্কুলে যাবার পথে পাশের বাড়ির রশিদ আলীর ছেলে কালন আহমদ জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করায়। পরে মেয়ে অসুস্থ হলে জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর বিষয়টি তানিয়া পরিবারকে জানায়। এ ঘটনার পর কালন আহমদকে আসামি করে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। গত ১ আগস্ট চিকিৎসাধীন থাকাকালে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে তানিয়া মারা যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ বার বার আশ্বাস দিয়েছে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে কালনকে। কিন্তু ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত কালনকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তিনি আরো জানান, উল্টো আসামি কালনের পক্ষের লোকজন মামলা প্রত্যাহার করতে জামাল উদ্দিনের পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে ভয় ও শঙ্কার মধ্যে দিন পার করছেন পরিবার ও স্বজনরা। হুমকির ঘটনায় নিহত তানিয়ার চাচা আব্দুল কাদির চারজনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন (ডায়েরি নং ১৩৫, তারিখ ০৩/০৮/২৩ইং)।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনার পরেই আসামি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। বিষ খাওয়ানোর ৭ দিন পর তানিয়ার পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রুজু করে আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করি। এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জ, ঢাকা এবং বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত কালন আহমদকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন লোকজন। এলাকাবাসী জানান, পরিকল্পিতভাবে জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেধাবী স্কুলছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। জড়িত যুবককে গ্রেফতারপূর্বক দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে ফাঁসির দাবি জানান তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই আসামি এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। বিলম্বে থানায় অভিযোগ দেয়ায় সে অজ্ঞাত স্থানে পালানোর সুযোগ পেয়েছে। তাকে গ্রেফতারে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখনো সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।