সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি, বিপদ অনেকটাই কেটেছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২৪, ৬:৪১:৩৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি ধীরে কমায় দুর্ভোগ কাটছে না সাধারণ মানুষের। জেলা শহরের বেশিরভাগ এলাকার সড়কে এখনো হাঁটুপানি। এসব এলাকায় নৌকা ছাড়া যাতায়াতের উপায় নেই। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রোদের দেখা মিললে স্থানীয়দের মনে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বর্ষণ না হলে ২০২২- এর বন্যার মতো এটি ভয়াবহ রূপ নেবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিও চেরাপুঞ্জিতে কম হয়েছে। মাত্র ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জে হয়েছে মাত্র দুই মিলিমিটার। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি জানান, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন আবহাওয়া ভালো থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি ছাড়া বড় ধরনের বৃষ্টির শঙ্কা নেই।
এদিকে বন্যার পানি কমছে ধীরে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। জেলা শহরের পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ নতুনপাড়ায় এখনো হাটু পানি। শান্তিবাগ, হাছননগরের কিছু অংশ, কালীপুর, ওয়েজখালীর কিছু অংশ, তেঘরিয়ার কিছু অংশ, পশ্চিম হাজীপাড়া, মল্লিকপুর ও নবীনগরের কিছু এলাকায় নৌকা ছাড়া যাতায়াতের সুযোগ নেই। এসব এলাকার ঘরবাড়ি থেকে ধীরগতিতে পানি নামায় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সজীব আহমদ বলেন, একেবারে নিরাপদ হয়ে গেছে সিলেট জোন- এটা বলা যাবে না। তবে অনেকটাই বিপদ কেটেছে; অবনতির শঙ্কা কম।
কালীপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘরে পাঁচ দিন ধরে পানি জমে আছে। ঈদের দিন পানি হাঁটুর উপরে ছিল। এখনো ঘরে সামান্য পানি আছে। ক্ষতি যা হবার, হয়ে গেছে। পানি দ্রুত নামলে এতো ক্ষতি হতো না।
শহরের মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে ওঠেছেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও তিন-চারদিন পর ঘরে ফিরতে পারবো। পানি নামার পর কাঁচা ঘরটি পড়ে যায় কিনা- এ আতঙ্ক তো আছেই।’