সেলিম আউয়াল রচিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
‘সত্তর দশকে সিলেটে সবচেয়ে বেশি সাহিত্যচর্চা ও লেখক সৃষ্টি হয়েছে’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১:৩৩:০৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সাহিত্য সাময়িকী জাগরণ সম্পাদক কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সত্তর দশকে সিলেটে সবচেয়ে বেশি সাহিত্যচর্চা হয়েছে এবং লেখক সৃষ্টি হয়েছে। সেলিম আউয়াল সিলেট সাহিত্যে জাগরণ-এর ভূমিকা বিষয়ে যে গবেষণা কর্মটি করেছেন, আমি সংশ্লিষ্ট বলে নয়, তিনি সত্যিই চমৎকার একটি কাজ করেছেন। প্রাচীন সাহিত্য সাময়িকী আল ইসলাহ’র জন্য এমন কাজ হয়নি। জাগরণ’র চেয়ে আল ইসলাহ’র মূল্য আমার কাছে অনেক বেশি।
সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে গবেষক সেলিম আউয়াল রচিত ‘রাগিব হোসেন চৌধুরীর জাগরণ সাময়িকী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও ২৮৭ তম সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথাগুলো বলেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গবেষক শিক্ষাবিদ প্রফেসর নন্দলাল শর্মা, কবি সাহিত্য সমালোচক লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, কথা সাহিত্যিক ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা (অব.) জামান মাহবুব, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু, ভারতের দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকার নিউজ কো-অর্ডিনেটর মকসুদুল চৌধুরী এবং অনুভূতি ব্যক্ত করেন গ্রন্থের লেখক সেলিম আউয়াল।
সাইক্লোনের সাহিত্য সম্পাদক তাসলিমা খানম বীথির পরিচালনায় এতে আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ডা. আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক কবি মো. আমিনুল ইসলাম, সাহিত্য সাময়িকী ভিন্নধারা সম্পাদক জাহেদুর রহমান চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাক’র সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, কবি ছয়ফুল আলম পারুল, ছড়াকার কামরুল আলম, কবি ইসরাক জাহান জেলী, কবি মাহফুজ জোহা, কবি রিপন মিয়া এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইক্লোনের সাবেক সভাপতি ভ্রমণকাহিনি লেখক মোয়াজ আফসার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী একজন শেকড়সন্ধানী লেখক। তার সবচেয়ে বড় গুণ তিনি একজন পরোপকারী এবং পৃষ্ঠপোষক। তার হাত ধরে জাগরণ আমাদের সিলেটের সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়েছে। কবি রাগিব হোসেন আপাদমস্তক একজন সাহিত্যিক ও সাহিত্যসেবী। তিনি আজীবন সাহিত্যের জন্য কাজ করেছেন। সিলেটের সাহিত্যে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। লেখকদেরকে সংগঠিত করতেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় এখন সেলিম আউয়াল সেই কাজটি করে যাচ্ছেন। সিলেটের সাহিত্যে আবারো জাগরণ সৃষ্টি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সাহিত্যের জন্যে নীরবে নিভৃতে যারা কাজ করছেন আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তারা।
লেখক অনুভূতি ব্যক্ত করে সেলিম আউয়াল বলেন, সাহিত্য সাময়িকীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় লেখকরা সংগঠিত হয়েছেন। জাগরণ সিলেটের লেখকদের সাহিত্যচর্চায় বিশেষ অবদান রেখেছে।
পরে সাহিত্য আসরে লেখাপাঠে অংশ নেন, ছড়াকার মাজাহারুল ইসলাম মেনন, এডভোকেট আশালতা, গীতিকবি কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল ও আব্দুল আজাদ চৌধুরী প্রমুখ। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি কামাল আহমদ।