তিন শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনলেন শাবি শিক্ষকরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২৪, ৬:৩৫:৪১ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : গভীর রাতে মেস থেকে আটক তিন শিক্ষার্থীকে আজ দুপুরে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) পাঁচ শিক্ষক। বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন নেহারীপাড়া এলাকার মেস থেকে তাঁদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে থানা থেকে তাঁদের ছাড়িয়ে আনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বেলা আড়াইটার দিকে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে তাঁদের ছাড়িয়ে আনা হয়।
তিন শিক্ষার্থী হলেন- শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মনির হোসেন, পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. সোহাগ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনাস মিয়া। তাঁরা সবাই নিহারীপাড়ায় ব্লক সি-৭১ নম্বর বাসার একটি মেসে ভাড়া থাকেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষকেরা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় আসেন। সেখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা করে তাঁদের ছাড়িয়ে আনেন।
শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ আতিকুল হক ও পরিসংখ্যান বিভাগের খালিদুর রহমান।
অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘বেলা ১১টায় আমরা খবর পাই, সন্দেহভাজনভাবে ওই শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তাঁরা আইনগত প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পরে থানার ওসির সঙ্গে কথা বললে আমাদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের ছাড়তে রাজি হন। শিক্ষার্থীরা এখন নিরাপদে আছেন।’
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ওই মেসে মামলার আসামি অবস্থান করছেন। রাতে আমরা মেসে যাই। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন দরজা খুলে দিলেও একটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভেতরে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। দেড় ঘণ্টা পর কক্ষ খুললে সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসি। পরে শিক্ষকেরা এলে শিক্ষার্থীদের তাঁদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’
মেসে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘রাত সাড়ে তিনটায় পুলিশের ওয়াকিটকির শব্দে ঘুম ভাঙে। পুলিশ কক্ষে সবকিছু তল্লাশি করে। বাড়ি কোথায়, কেউ কোনো দল করে কি না, সবাইকে জিজ্ঞেস করে। তারপর সবার মোবাইল চেক করে। পরে তিনজনকে তুলে নিয়ে যায়। আমাকে নিতে চাইছিল। আমি পরীক্ষার্থী বলায় ছেড়ে দিছে।’