সব মিলিয়ে ২৩৭ জনকে চিকিৎসা
কোটাবিরোধী আন্দোলন : ওসমানী হাসপাতালে এখনো ভর্তি ৩৫ জন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ৬:১৯:০৯ অপরাহ্ন
ডা: এস.এম. আসাদুজ্জামান জুয়েল : কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকে সারাদেশের ন্যায় সিলেট বিভাগেও কয়েকশ’ লোকের আহত এবং বেশ কয়েক জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃত ও আহতদের মধ্যে ছাত্র-জনতা-সাংবাদিক সহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ রয়েছেন। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩৭ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন রাস্তাতেই (ইৎড়ঁমযঃ ফবধফ) মারা যায়।
ওসমানীতে ভর্তি অবস্থায় ১ জন মারা যায়, ৯ জনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো (জবভবৎ করা) হয় এবং গতকাল শনিবার ১ জনকে ঢাকায় জবভবৎ করা হয়। বাকি আহতদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেয়ার পরও বর্তমানে ৩৫ জন আহত ব্যক্তি ওসমানী হাসপাতালের ৭, ৯ ও ১১ নং ওয়ার্ড এবং ওঈট (আইসিইউ)-তে চিকিৎসাধীন আছেন বলে ওসমানী হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা: সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী জানান।
তিনি আরো জানান, ভর্তিকৃত আহতদের সবার অবস্থাই মোটামুটি ভালো থাকলেও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার ৯ম শ্রেণির ছাত্র রায়হানের অবস্থা এখনও গুরুতর। কেননা, তার কিডনি, অন্ত্র এবং হাড় ভেদ করে গুলি শরীরে প্রবেশ করায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাই, গতকাল সকালে তাকে ওয়ার্ড থেকে আই.সি.ইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে, রায়হানের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃক কিড্নি বিশেষজ্ঞ, হাড়-জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে তিন সদস্যের বোর্ড গঠনের মাধ্যমে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর খবর পাওয়া যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মৃত্যুবরণকারীর পরিচয় জানা গেছে, তার নাম আনাস, বয়স-১৯ বছর, গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায়। তবে সে শিক্ষার্থী কিনা তা জানা যায়নি।