এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা
এইচপিভি টিকা নিতে ইমামরা জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ৮:৩৭:১২ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দীন মজুমদার বলেছেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশিক্ষিত ইমামরা অসামান্য অবদান রাখছেন। তারা টিকাদান কর্মসূচি, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনা সৃষ্টি করে শান্তি ও স্থিতিশীল সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) নগরীর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ইউনিসেফের সহায়তায় এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম ও জীবন রক্ষাকারী মৌলিক আচরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলা ছাড়াও ভ্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসংিদী ও কিশোরগঞ্জের নির্বাচিত একশো ইমাম অংশ নেন।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ঢাকার পরিচালক মো. রেজ্জাকুল হায়দার, ইউনিসেফের সিলেট বিভাগীয় প্রধান কাজী দিল আফরোজা ইসলাম ও ইউনিসেফের কনসালটেন্ট শেখ আলী হায়দার আজম।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির সমাজবিজ্ঞান প্রশিক্ষক মো. আনোয়ারুল কাদিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রশিক্ষাণার্থী ইমাম মাওলানা হুসাইন আহমদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফের সিলেট বিভাগীয় প্রধান কাজী দিল আফরোজা ইসলাম বলেন,
বাংলাদেশে প্রতিবছর হাজার হাজার নারী জরায়ুমুখের ক্যানসারে মারা যান। এটি এমন একটি রোগ, যা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদেরকে মাত্র এক ডোজ টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইমামরা মানুষকে এইচপিভি টিকা নিতে উৎসাহিত করতে হবে। ইউনিসেফের সহায়তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্রে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের চার লাখ মসজিদের আট লক্ষাধিক ইমাম-মুয়াজ্জিনের মাধ্যমে জনসচেতনা মূলক যেকোনো বার্তা সহজেই জনগণের কাছে পৌছানো মাধ্যমে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সরকারের লোকাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।