হুন্ডি কারবারীদের নিরাপদ রুট সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:২৮:০৮ অপরাহ্ন
শহীদনূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের ভারতের সাথে প্রায় ১২০ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত এলাকাকে ঘিরে সক্রিয় একাধিক চোরাচালানি চক্র। আর এই চোরাকারবারিদের অর্থ লেনদেনের নিরাপদ মাধ্যম হুন্ডি কারবারীদের নিরাপদ ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে এই সীমান্ত এলাকা।
সূত্র জানিয়েছে, জেলার তাহিরপুর, বিশ^ম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী বাজার ও গ্রামকে ঘিরে চোরাকারবারীরা গড়ে তুলেছে এবাধিক হুন্ডির এজেন্ট। যার মাধ্যমে দুই দেশের টাকা আদান প্রদান হয়ে থাকে । সাম্প্রতিক সময়ে হন্ডি কারবারিদের হটস্পট হিসেবে দোয়ারাবাজার চিহ্নিত চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের কাছে। সম্প্রতি দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাউড়া সীমান্ত এলাকায় সাড়ে ১৯ লাখ ভারতীয় রুপিসহ হৃদয় মিয়া(২৫) নামের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীকে আটক করে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)। ভারতীয় রুপির এই বড় চালান ধরার পর দোয়ারাবাজারসহ জেলার সীমান্ত এলাকায় হুন্ডি কারবারিদের তৎপরতা নিয়ে চলছে আলোচনা । অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার কিছু অসাধু সদস্য ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র এই অবৈধ কাজে সহায়তা করছেন ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সীমান্ত উপজেলা দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার, বোগলাবাজার, নরসিংপুর ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত বাজারকে কেন্দ্র করে হুন্ডি কারবারি চক্রের একাধিক সিন্ডিকেটে গড়ে উঠেছে। হুন্ডি কারবারিরাই এতদাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাবাজার এলাকার এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, হুন্ডি ব্যবসা সীমান্ত এলাকায় এখন ওপেন সিক্রেট বিষয়। এখানে হুন্ডিকারবারিরা প্রভাবশালী। তাদের সিলেট সুনামগঞ্জ বাসা বাড়ি রয়েছে। এব্যাপারে জানতে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবি‘র অধিনায়ক লে.কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোনকল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।