সিলেটে পিপি ফয়েজের কক্ষে তালা ॥ পিপি মুজিব লাঞ্ছিত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনিযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগকে প্রত্যাখ্যান করে নবাগত পিপির কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে দিয়েছে আইনজীবীরা। গতকাল রোববার সকাল ৯টায় সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনিযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিবের পিপি কক্ষ তালাবদ্ধ করে দেন আইনজীবীরা। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ২য় তলায় এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিবকে দেখে আইনজীবীরা ক্ষেপে যান এবং তাকে লাঞ্ছিত করেন। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে স্থান ত্যাগ করেন মুজিব।
সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটওয়ারী রিপন বলেন, তাদের মূল দাবি হচ্ছে-পিপি ফয়েজ ও মুজিবকে দ্রুত অপসারণ। তা না হলে তাদের আন্দোলন চলবে। আশিকুর রহমান আশুক নামের একজন সিনিয়র আইনজীবীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে ৩০ বছরের জুনিয়র আইনজীবীর নিচে অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত বিচার ও মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের পিপিরও পরিবর্তন চান তারা।
বিক্ষোভকালে আইনজীবিরা বলেন, ‘সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এডভোকেট এ টি এম ফয়েজ একজন বহুরুপি ও বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে বিএনপিতে আসলেও বিগত খুনি ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দীর্ঘ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। দলে তার সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা, অনুপস্থিতি ও দলীয় নেতাকর্মীদের আইনী সেবা প্রদানে তার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে এক সময় আইনজীবী ফোরামের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি দীর্ঘ দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রান্ট হয়ে সপরিবারে স্থায়ী ভাবে আমেরিকায় পাড়ি জমান। গত ৫ আগস্ট খুনি হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে তিনি পিপি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন এবং সংশ্লিষ্টদেরকে ভুল বুঝিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটি বাগিয়ে নেন। যা সিলেটের আইন অঙ্গনের সর্বস্তরের আইনজীবিদের মর্মাহত করেছে। নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এটি এম ফয়েজকে পরিবর্তনের জোর দাবি জানান।’
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাবেক জিপি সিনিয়র এডভোকেট আক্তার হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আশরাফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট হাবিুবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটওয়ারী রিপন, এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, এডভোকেট আব্দুল ফাত্তাহ তুহেল, এডভোকেট এজাজ উদ্দিন, এডভোকেট আনছারুজ্জামান, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, এডভোকেট উবাদুর রহমান ফাহমি, এডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকি, এডভোকেট আয়েশা সিদ্দিকা, এডভোকেট তানভীর আক্তার খান, এডভোকেট জাফর ইকবাল তারেক, এডভোকেট নজরুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, এডভোকেট আলী হায়দার ফারুক, এডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান, এডভোকেট সাজেদুল ইসলাম সজিব, এডভোকেট মোবারক হোসেন, এডভোকেট লিয়াকত আলী, এডভোকেট নুর আহমদ, এডভোকেট আব্দুল হাই রাজন, এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান রাজ, এডভোকেট তাজ রিহান জামান, এডভোকেট বদরুল আলম লিটন, এডভোকেট শামিম আহমদ, এডভোকেট হাবিব আহমদ, এডভোকেট মঞ্জুর এলাহী সামি, এডভোকেট আব্দুল হালিম রায়হান, এডভোকেট নাজমুল হুদা সাহান, এডভোকেট সাহেদ আহমদ, এডভোকট খুরশেদ আলম, এডভোকেট গোলাম রসুল সুমেল, এডভোকেট মুমিনুল হক, এডভোকেট মোজাক্কির হোসেন, এডভোকেট নাছির উদ্দিন সাদিক, এডভোকেট রুহুল আমীন, এডভোকেট কামরুল আমিন, এডভোকেট কাজী সেবা আক্তার, এডভোকেট সাহেদ আহমদ, এডভোকেট জাবেদ আহমদ, এডভোকেট খায়রুল আমিন, এডভোকেট স্বপন আহমদ প্রমুখ।