সিলেটে পৃথক দুর্ঘটনায় সড়কে ঝরলো ৫ প্রাণ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১:০৭:১৭ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কে মেজরটিলা এলাকায় ট্রাক ও অটোরিক্সার ধাক্কায় দু’জন ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দাসপাড়া মামার দোকানের সামনে ট্রাকচাপায় এক বৃদ্ধা এবং কোম্পানীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জে ২ মোটর সাইকেল আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন।
এর মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জে বোনের বিয়ের আগের রাতে নিহত হন মোটর সাইকেল আরোহী বড় ভাই। গতকাল সোমবার ও আগের দিন রোববার রাতে পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কে রাস্তা পার হতে গিয়ে আফতারুন নেছা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। পীরেরবাজার এলাকায় মামার দোকানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার সিলাম এলাকার মৃত জমির আলীর স্ত্রী।
এছাড়া, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের মেজরটিলা চামেলিবাগে যাত্রীবাহী একটি সিএনজি অটোরিকশা (সিলেট-থ ১১-৩৯৪৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-ট ২২-৯৭৯০) পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নগরীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের নাম পাওয়া গেছে। অন্যদের পরিচয় নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে।
কোম্পানীগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে মোটরসাইকেল-ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার সাথে সংঘর্ষে সুমন মিয়া (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের আরো দুই যাত্রী। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ডাকঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন বাঘারপাড় গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে। আহত মোটরসাইকেলের দুই যাত্রী হলেন নোয়াকুট গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (দিলু) (৩০) এবং গাংপাড় নোয়াকুট কান্দিগ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাসেল (২৫)। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফুরকান মাহমুদ জানান, ভোলাগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা টুকের বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের সাথে ডাকঘর নামক স্থানে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত তিন মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শায়েস্তাগঞ্জে ছোট বোনের বিয়ের আগের রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বড় ভাই নাঈম মিয়া (২২) এর মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার রাত ৯ টায় উপজেলার ফরিদপুর এলাকার দেউন্দি সড়কের ব্রীজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাঈম মিয়া উপজেলার নিশাপট গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশাপট গ্রামে নিহতের ছোটবোনের বিয়েকে কেন্দ্র করে তার পরিবারে চলছিল বিয়ের আমেজ। বিয়ের আগের রাতে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান নাঈম মিয়া। নাঈম তার মামা জসিম মিয়াকে শৈলজুড়া গ্রামে পৌঁছে দিতে মোটর সাইকেলে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে দেউন্দি সড়কের ব্রীজের কাছে যাওয়া মাত্রই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাইসাকেলের সাথে তাদের মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই নাঈমের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোটর সাইকেল আরোহী জসিম মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।