তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধ
জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে দু’পক্ষের দুই দফা সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ৩:৩৪:০১ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জ (সিলেট)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ সিলেটের জকিগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ও এর আগের দিন সোমবার দুই দফায় উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাটারি চালিত টমটম গাড়ির ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে মানিকপুর ইউপির খাসেরা ও মাতারগ্রামের লোকজনের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় দুটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের অন্তত ২০/৩০ জন মানুষ আহত হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে ঘটনাটি আপসে সমাধান করার উদ্যোগ নেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদে দুটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে আপস বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলাকালে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে দুটি গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন। দ্বিতীয় দফার সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে উভয়পক্ষের আরো প্রায় ৩৫/৪০ জন মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয় যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ব্যাটারি চালিত কয়েকটি টমটম গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আহতদের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার রাত ১১ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) এস.এম মাহমুদ হোসেন রিপন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুদিন সংঘর্ষে জড়ায় মাতারগ্রাম ও খাসেরা গ্রামের লোকজন। সোমবার রাতের ঘটনা আপসে নিষ্পত্তি করার জন্য মঙ্গলবার বৈঠক শুরুর পর আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ও পুলিশের একটি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সংঘর্ষে কেউই গুরুতর আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি । এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।