তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
শ্রীমঙ্গলে শীতে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৫৬:১১ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্রীমঙ্গলে দিন দিন শীতের প্রকোপ বাড়ছে। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু এ উপজেলার মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না এ জনপদে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের জনজীবন।
গত কয়েকদিন থেকেই তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে। আগামী আরও দু-একদিন তাপমাত্রা এ রকমই থাকতে পারে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গলে গতকাল বৃহস্পতিবার ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গত বুধবার ১২.২, মঙ্গলবার ১৩.৫, সোমবার ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগে গত রোববার তাপমাত্রা ১৪.৩, শনিবার ১৩.৫, শুক্রবার ১৩.৫, বৃহস্পতিবার ১৩.৬ ও বুধবার ১৩.৭ ডিগ্রি ছিল।
শীতের এ সময়টাতে যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদের অনেকেই বিপাকে পড়ছেন। বিশেষ করে ভ্যানচালক, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল বা সাইকেলে যারা চলাচল করেন তাদের জন্য কুয়াশা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাওর পাড়ের বোরো চাষি, দিনমজুর ও চা বাগানের শ্রমিকরা ঠা-া প্রকোপে পড়ছেন চরম বিপাকে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিতে, শীতের কারণে উপজেলায় বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ট্রাকচালক কোরবান আলী বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে গাড়ি চালাইতে অনেক কষ্ট হয়। রাতে কুয়াশার কারণে ২০ হাত দূরের রাস্তাও ভালোভাবে দেখা যায় না। রাস্তায় অনেক দুর্ঘটনাও ঘটছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে অনেক কষ্টে গাড়ি চালাইতে হচ্ছে।’
ঘন কুয়াশার কারণে শহরের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে গতি কমিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার যানবাহনসহ, মিনিবাস, সিএনজি, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল। এমনকি গ্রাম অঞ্চলের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।