শান্তিগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে ধীর গতি, শঙ্কিত কৃষকরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২৩:২৪ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : শান্তিগঞ্জে বোরো আবাদ শুরু হলেও নামমাত্র কয়েকটি বাঁধে ঘঁষামাজা ছাড়া এখনও হাওরের অধিকাংশ ফসল রক্ষা বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়নি। দুটি বাঁধে কাজের উদ্বোধনের পর থমকে আছে বাঁধের কাজ। নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু হবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা। বাঁধের কাজে ধীর গতিতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
গতকাল রোববার সরেজমিনে উপজেলার দেখার হাওরে গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধনের দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন বাঁধেই কাজের কোন চিহ্ন নেই। দেখা মেলেনি পিআইসি কমিটির কাউকে। কোন বাঁধে নেই সাইনবোর্ড কিংবা বাঁধ নির্মাণের কোন সরঞ্জাম। ঝূঁকিপূর্ণ উথারিয়া ক্লোজারেও কাজ করার কোন ধরনের প্রস্তুতি নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু দেখার হাওরেই নয়; উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের কিছু বাঁধে হালকাভাবে ড্রাম ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। অধিকাংশ বাঁধেই মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়নি। এতে আগাম বন্যায় অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাওর পারের কৃষকরা।
জানা যায়, আগাম বন্যা থেকে হাওরের বোরো ধান রক্ষায় শান্তিগঞ্জের ৬৪ টি বাঁধ নির্মাণের জন্য এ বছর ৯ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে এখনো ২/১টি ছাড়া অন্য কোন বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন হাওরের কৃষকরা।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী(এসও) মমিন মিয়া বলেন, উপজেলার বিভিন্ন হাওরে আংশিক কাজ শুরু হলেও অধিকাংশ হাওরে পানির জন্য কাজ শুরু হয়নি। জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, যে সকল বাঁধে এখনো কাজ শুরু হয়নি; তাদেরকে দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দেয়া হবে। জানুয়ারী থেকে সকল হাওরে পুরোদমে বাঁধ নির্মাণ কাজ চলবে। সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড পওর-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইমদাদুল হক বলেন, সরেজমিন বাঁধগুলো পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।