দক্ষিণ সুরমার হাজী রাশীদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজারস্থ হাজী রাশীদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সুধীজনদের অংশগ্রহণে পরিণত হয় মিলনমেলায়।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের চত্বরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করে স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা ছিল মনোমুগ্ধকর।দিনব্যাপী এই উৎসবে ছিল পুনর্মিলনী, সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণমূলক আয়োজন ও র্যাফেল ড্র।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী ও বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রমজান আলীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ৫০ বছরের ইতিহাসে হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় অগণিত মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করেছে। প্রান্তিক এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য এটি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা প্রদানেও ভূমিকা রেখে চলেছে। বিদ্যালয়টি শুধু শিক্ষার জন্যই নয়, সিলেটের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও অবদান রেখে চলেছে।
আলোচনা সভায় বক্তারা ড. রাগীব আলীর শিক্ষাবিস্তার এবং সমাজসেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলী দেশের অন্যতম শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। ১৯৭৪ সালে হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তিনি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। দানবীর ড. রাগীব আলীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা এখন সময়ের দাবি।
হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মো. আব্দুর রকিবের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন হাজী রাশীদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী এবং বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রমজান আলী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আজম আলী, সদস্য সিদ্দিকুর রহমান খালেদ, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম ও সদস্য সোহেল আহমদ। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথিদের ফুলের তোড়া ও সম্মাননা স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমদ ভূঁইয়া, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল মো. আবেদ হোসাইন, দৈনিক সিলেটের ডাকের অতিথি সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সোলেমানের ছোট ভাই ও হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মাওলানা বুরহান হুসেইন, ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এনামের বড় ভাই মো. সুনু মিয়া, হাজী রশিদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, দানবীর ড. রাগীব আলীর নাতি সৈয়দ আজমাইন আব্দুল হাই, ১০নং কামাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক, স্টারলাইট একাডেমির পরিচালক নুরুল ইসলাম বাবুল, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. মুহিবুর রহমান, মো. এনামুল হক মাক্কু, মো. আবুল হোসেন, শেখ লায়েছ আহমদ। সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আবুল মনাফ, শামসুল ইসলাম, মাসুক আহমদ, আমিনুল ইসলাম, আহমদ, আশরাফ, ফেরদৌস, আব্দুল করিম, কবি মকবুল আলী, রিয়াজ মিয়া, সুহেল আহমদ, শামসুদ্দীন শুভ, শাহীন, হিরন, বেলাল সহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শেখ শফি উদ্দিন ও গীতা পাঠ করেন পূজারানী নাথ।