সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের বিশ্ব শ্রবণ দিবস পালন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মার্চ ২০২৫, ৫:৩০:৩৮ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে ‘মানসিকতার পরিবর্তন : নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন’ এবং ‘সকলের জন্য কান এবং শ্রবণের সঠিক যতœ বাস্তবায়িত হোক’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের নাক, কান, গলা ও হেড-নেক সার্জারী বিভাগের উদ্যোগে র্যালি এবং বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে কলেজের মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটে বিভাগীয় প্রধান ডা: নূরুল হুদা নাঈমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুরুতেই বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা: মইনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সালেহ আহমদ শাহীন। আলোচনা সভা শেষে বিশ্ব শ্রবণ দিবসের গুরুত্ব এবং সচেতনতা বিষয়ে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়। কলেজ চত্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.সালেহ আহমেদ শাহীন , বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ; ইএনটি বিভাগের সকল পর্যায়ের শিক্ষক এবং চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা শব্দ দূষণের মধ্যেই বসবাস করছি। এ থেকে উওরণের জন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় প্রধান ডা: নূরুল হুদা নাঈম বলেন, বাস, ট্রাক, ট্রেন, জাহাজ, লঞ্চ, স্টিমার ইত্যাদি ইঞ্জিন চালিত যানবাহনের অতিরিক্ত শব্দের ফলে শব্দ দূষণ হয়। তাছাড়া চালকদের বিরামহীন হর্ন বাজানো পরিবেশ দূষিত করে। এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। ডা: নাঈম আরো বলেন, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল ভলিউমে শব্দে গান শুনা যেতে পারে। উচ্চশব্দ কানের পর্দায় গিয়ে খুব জোরে আঘাত হানে। দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনুষ্ঠানে সাইন্টিফিক পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনিমেড-ইউনিহেলথ।