গোয়াইনঘাট ও কুলাউড়ায় সড়কে ঝরলো ২ প্রাণ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২:০৭ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের গোয়াইনঘাট ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কে ঝরেছে ২ প্রাণ। গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন যুবক। কুলাউড়ায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন মসজিদের মোয়াজ্জিন। গতকাল রোববার ও শনিবার রাতে পৃথক এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
গোয়াইনঘাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওয়াসিম বখত নামে অপর একজন আহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার জাফলংয়ের জাফলং-মামারদোকান সড়কের লাখেরপাড় নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম সাদ্দাম আহমদ। তিনি উপজেলার বল্লাঘাট এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, শনিবার রাতে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা একটি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর লাখেরপাড় সড়কে পৌঁছা মাত্র সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা ওয়াসিম বখ্ত ও সাদ্দাম আহমেদ গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদ্দামকে মৃত ঘোষণা করেন। গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার মো. তোফায়েল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুলাউড়া অফিস : কুলাউড়া অফিস জানায়, কুলাউড়া শহরের উপকন্ঠে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ব্রাহ্মণবাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন মাওলানা আবুল কালাম (২৬) নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে কুলাউড়া মৌলভীবাজার সড়কে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর জয়পাশা গ্রামের আব্দুল কাদিরের একমাত্র ছেলে। তিনি গত ১০ বছর যাবৎ ব্রাহ্মণবাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জিমের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নিহত আবুল কালাম নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী স্বভাবের লোক ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি ব্রাহ্মণবাজার হতে কুলাউড়া নিজ বাড়িতে আসছিলেন। পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ।
কুলাউড়া থানার এস আই ছালেক জানান, ঘাতক ট্রাকটি বালু বোঝাই করে কুলাউড়া থেকে বড়লেখা অভিমুখে যাচ্ছিল। চালক মুজিবুর রহমান (৪০) কে আটক করা হয়েছে এবং ঘাতক ট্রাক (চট্ট মেট্রো-অ ১০৯) জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় কুলাউড়া শহর ও শহরতলিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত আবুল কালাম পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।