বালাগঞ্জে সংঘর্ষে ১ জন নিহত, প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২৫, ৩:২৯:৫৫ অপরাহ্ন

বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বালাগঞ্জে গত শনিবার সন্ধায় সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল রোববার ১ জন মারা গেছেন। নিহতের নাম লয়লুছ মিয়া (৫০)। তার পিতার নাম মানিক মিয়া, বাড়ি সিরিয়া গ্রামে। এ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইউনুছ মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বালাগঞ্জ থানা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সিরিয়া গ্রামের দুই প্রতিবেশী মানিক মিয়া এবং ইউনুস আলীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বালাগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষে অন্তত ৬ জন আহত হন।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত লয়লুছ মিয়াকে পরবর্তীতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লয়লুছ মিয়া মারা যান। তার মৃত্যু সংবাদ জানাজানি হলে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ক্ষুব্ধ লোকজন রাত ১০টার দিকে ইউনুছ আলীর বাড়িতে হামলা এবং অগ্নিসংযোগ করে। সংবাদ পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. অপু মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা প্রায় ২ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। অগ্নিকাণ্ডে ইউনুস মিয়ার ৪টি ছাগল, ধানসহ আধাপাকা বসতঘর পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) ফয়েজ আহমদ এবং র্যাব-৯ এর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম, ইউপি সদস্য ফয়জুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান জিলু, সাধারণ সম্পাদক মো. আমির আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আলাপকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন মামলা হয়নি। এলাকায় পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে।