জগন্নাথপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২৫, ১:০৪:২৪ অপরাহ্ন

ওসমানীনগর (সিলেট) ও জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জগন্নাথপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে খালিক মিয়া (৩৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষে অন্তত ২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত খালিক মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের উত্তর কালনিরচর গ্রামের মৃত তেরা মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, সিজুল মিয়া (৪০), জামাল মিয়া (৪০), রয়িদ মিয়া (৪৫), রাশেদ আহমদ (২৭), লুৎফুর রহমান (৩৮), কয়েছ মিয়া (২৮), রাব্বি (২৩), আতাউর রহমান (৩৩), হারুন মিয়া (৫০), শুরুর আলী(৪০), রুহেল আহমদ (৪২) আলমগীর হোসেন (৩৫), আলী হোসেন (২২), খনকার মিয়া (৫০), সেলিম আহমদ (২৫), ইমান আলী (২৬), রেজন আহমদ (৩০), আলাল আহমদ (৩২), ফুজায়েল আহমদ (১৪) ও নাঈম আহমদ (২২)। তাদের বাড়ী উত্তর কালনীরচর হলেও গ্রামটি পড়েছে দুই থানা এলাকায়। একাংশ পড়েছে জগন্নাথপুর উপজেলায় এবং অপর অংশ পড়েছে ওসমানীনগর উপজেলায়। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান। সম্প্রতি বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সালিশ ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে জগন্নাথপুর থানাধীন গ্রামের খালিদ মিয়ার বাড়িতে অপরপক্ষ হামলা চালালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ২০জন আহত হন এবং খালিদ মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
নিহত খালিদ মিয়ার পক্ষের রুহেল আহমদ অভি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জুনায়েদ, আকাইদ, মেন্দি মিয়ার অত্যাচারে খালিদ মিয়া ওসমানীনগর অংশের উত্তর কালনীরচর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন। গতকাল শনিবার সকালে তার অসুস্থ মা ও ছেলেকে দেখতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে।
জুনায়েদের পক্ষের বিলাল আহমদ বলেন, দুপুরের দিকে আমাদের লোকজন গরু আনতে গেলে খালিদ মিয়া ও তার লোকজন তার উপর আক্রমণ করেন। এতে আমাদের ৮/১০জন আহত হয়। গ্রামের মসজিদের উন্নয়ন কাজে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তাদের সাথে আমাদের মনোমালিন্য হয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল জগন্নাথপুর থানাধীন এলাকায়। গত রমজান মাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে আমরা অনেকবার ওসমানীনগর থেকে ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছি। মাইকিং করে এলাকার সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। সে সময় আমাদের পুলিশের উপরও হামলা করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জগন্নাথপুর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।