সুনামগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট, দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতা-বিক্রেতার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৬:১০:৫৬ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সারাদেশের মতো হাওরের জেলা সুনামগঞ্জেও পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। বেচাবিক্রির শেষ সময়ে জেলার পশু হাটগুলো বেশ জমে ওঠেছে। তবে গরুর দাম নিয়ে ক্রেতা, বিক্রেতা উভয়েরই নানা অভিযোগ রয়েছে।
অন্য সময়ের চেয়ে হাটে গরু পরিমাণে বেশি উঠায় খুশি ইজারাদারেরা। জেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট বড় স্থায়ী হাট রয়েছে ২৫টি। এছাড়াও ১২ উপজেলায় অস্থায়ীভাবে ৪১টি পশুরহাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫২ হাজার ৪৯১টি গবাদিপশু। পশুর হাট নজরদারি ও চিকিৎসার জন্য ১১টি কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন হাটে কোরবানির উপযুক্ত পশু নিয়ে আসছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল মঙ্গলবার জেলার অন্যতম পশুর হাট বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টের বাজার পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, পশু বেচাকেনা আর হাঁকডাকে জমজমাট হাট। সারি সারি বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে হাজারো কোরবানির পশু। গরুর দরদাম নিয়ে কষাকষি করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। অবশ্য হাটে গরুর ব্যাপারী থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম ।
গরু কিনতে আসা জহিরুল নামের এক ক্রেতা বলেন, লোকমুখে শুনেছি দাম কম কিন্তু বাজারে এসে দেখি দাম বেশি। তবে বাজারে অনেক পশু উঠেছে। গ্রাহক পছন্দ মতো কিনতে পারবেন। ইসলাম উদ্দিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমরা কোরবানি দিই। দাম বিষয় নয়, পছন্দ মতো একটি কিনে নিবো। বাজারে অনেক গরু উঠেছে। হাটে গরু নিয়ে আসা নূরকালাম নামের এক ব্যাপারী বলেন, হাটে অনেক গুরু এসেছে। গরুর তুলনায় ক্রেতা কম। ক্রেতারা গরুর দাম শুনে চলে যায়। কেউ কেউ দামাদামি করলেও চাহিদার চেয়ে দাম কম বলেন। এখন গরু লালন পালনে অনেক খরচ পড়ে। কিছুটা বাড়তি দাম না পেলে আমাদের পরতায় পুষবে না।
কারেন্টের বাজারের ইজারাদার নজরুল ইসলাম বলেন, গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। গরুর আমদানি ভালো থাকায় ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো গরু কিনতে পারছেন। শৃঙ্খলা রক্ষা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দের পশু ক্রয়-বিক্রয়ে সহায়তার জন্য হাটে স্বেচ্ছাসেবক দল দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৬৬টি পশুর হাট রয়েছে। পশুরহাট নজরদারির জন্য ১১টি কন্ট্রোল রুম ও ২৩টি মেডিকেল টিম রয়েছে। পশু অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে, জেলার পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তার জন্যে সার্বক্ষণিক নজরদারি জোরদারের পাশাপাশি গোয়ান্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ বিভাগ। নির্বিঘ্নে পশুরহাটের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।




