শান্তিগঞ্জে মৎস্য অধিদপ্তর এবং এফএও এর প্রকল্পের আওতাভুক্ত পুকুরে পোনা মজুদ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৩:২৫ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি : গ্লোবাল ইনভারমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) এর অর্থায়নে মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আওতাধীন কমিউনিটি বেজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড একুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চলতি বছরে নতুন সংগঠিত ৩ টি সিবিও (সমাজভিত্তিক সংগঠন) এর জলাশয়ে পোনা মজুদ করা হয়েছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলসে ধানক্ষেতে মাছ চাষ, সুলতানপুরে পেনে মাছ চাষ এবং তেঘরিয়া গ্রামে কুয়ায় মাছ চাষ নামে এ বছর প্রকল্পের লক্ষমাত্রা হিসেবে ৩ টি সিবিও গঠন করা হয়। প্রকল্পের নির্ধারিত নিয়মে ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগকৃত ভেন্ডর প্রয়োজনীয় মাছের পোনা সরবরাহ করছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় যে, গঠিত সিবিও সমূহের জলাশয়ে ইতিমধ্যে মাছের পোনা মজুদের সকল কাজ সম্পন্ন করে (যেমন: আগাছা পরিষ্কার, পাড় মেরামত, চুন প্রয়োগ, নেটের বেড়া দেওয়া) বড় সাইজের পোনা মজুদ করা হয়েছে।
৯ অক্টোবর তেঘরিয়া গ্রামে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট কুয়ায় মাছ চাষ সিবিও এর সদস্যদের উপস্থিতিতে যাচাই বাছাই ও পরিমাপ করে পোনা মজুদ করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায় যে, উক্ত সিবিও’র জন্য নির্বাচিত দুইটি কুয়ায় মজুদের জন্য মোট ৩ হাজার পিছ কার্প জাতীয় মাছের পোনা ও ৩ হাজার পিছ শিং মাছের পোনা বরাদ্দ রয়েছে। প্রকল্পের শর্ত মোতাবেক নির্বাচিত ভেন্ডর গড়ে ৪-৫ টি মাছের পোনায় এক কেজি হয় এমন সাইজের সিলভার কার্প, কাতলা, রুই, মৃগেল, কালিবাউশ, গ্রাসকার্প ইত্যাদি মাছের মাছ সরবরাহ করা হয়েছে । উক্ত কার্যক্রমের আওতায় গতকাল জয়কলসের ধানক্ষেতে মাছ চাষ সিবিও এবং সুলতানপুরের পেনে মাছ চাষ সিবিওতে মাছের পোনা মজুদ করা হয়।
মাছের পোনা মজুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: আল-আমিন এবং এফএও’র ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর শফি উল্লাহ্ জানান যে, উক্ত প্রকল্পের আওতায় শান্তিগঞ্জে ইতিপূর্বে গঠিত ১৩ টি সিবিও’র কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে আর নতুন গঠিত এই তিনটি সিবিও’র জলাশয়ে পোনা মজুদ সম্পন্ন করে অতি সত্বর প্রকল্প থেকে মাছের খাদ্য সরবরাহ করা হবে।
সিবিও সদস্যগণ প্রকল্পের পরামর্শ মোতাবেক জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ ও মৎস্য ব্যবস্থাপনা অনুশীলন করতে পারলে হাওড়বেষ্টিত ও আকস্মিক বন্যা প্রবণ অত্র এলাকার চাষীগণ তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে পারবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




