যাদুকাটায় বালুলুট কান্ডে ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৩১:০৪ অপরাহ্ন
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : যাদুকাটা বালুমহালের ইজারা বহির্ভূত লাউড়েরগড় ও শাহিদাবাদ এলাকা থেকে বালুলুট কান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন (২০১০) আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বাদী উপজেলার পুরানঘাট গ্রামের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন আরিফ তালুকদার। যাদুকাটা বালুমহাল-১ এর ইজারাদার নাছির মিয়া সম্পর্কে তার মামা।
অভিযোগে মামলার বাদী উল্লেখ করেছেন, যাদুকাটা নদী এলাকার লাউড়েরগড় বিওপি ক্যাম্পের পশ্চিম পাড়ে ইজারা বর্হিভূত সরকারি খাস জলাভূমি ও নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন। ইজারাদার নিষেধ দিয়েও তাদের থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। উপরন্তু বালু লুটকারীরা হামলা করে নদী এলাকায় পাহারার দায়িত্বে থাকা দুই পাহরাদারকে মেরে আহত করেছে। অভিযুক্তরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লাউড়েরগড় ও শাহিদাবাদ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া অবৈধভাবে আরও বালু উত্তোলন করার জন্য পায়তাঁরা করছে। বালু লুটেরাদের এমন কর্মকান্ডে যাদুকাটা নদীর বিভিন্ন অংশের তীর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীনসহ নদীভাঙন ও নদীর ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এর আগে গত ৬ অক্টোবরের পর থেকে ৫ দিনে যাদুকাটা নদীর ইজারা বহির্ভূত লাউড়েরগড় ও শাহিদাবাদ এলাকা থেকে বালু লুটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট।
এদিকে গত মঙ্গলবার যাদুকাটা নদীর পাড় রক্ষা ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, বালুলুট কান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ূম ওরফে খেলু মাস্টার ও লাউড়েরগড় গ্রামের বাসিন্দা খাজা মাঈনউদ্দিন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক জানিয়েছেন, বালুলুট কান্ডে যে বা যারাই জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




